ইউরোপের দেশে দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ

ইউরোপে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। কোনো কোনো দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে নেদারল্যান্ডসে নতুন করে আংশিক লকডাউন ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার শুরু হয় বিক্ষোভ। শনিবার রাতে দ্য হেগসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নেমে আসেন মানুষ। প্রথম দিনের মতো এদিনও পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে নতুন বিধিনিষেধের প্রতিবাদে অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও ইতালিতেও বিক্ষোভ চলছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইউরোপে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। কোনো কোনো দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত শনিবার যুক্তরাজ্য সরকারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, শুধু ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৪০ হাজার ৯৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ বাড়ার হার ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরোপ করা হচ্ছে নতুন বিধিনিষেধ। আর এসব বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন মানুষ।

শনিবার নেদারল্যান্ডসে তিন সপ্তাহের আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বলা হয়েছে, রাত আটটার মধ্যে সব বার ও রেস্তোরাঁ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজনে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এসব বিধিনিষেধের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করছেন নেদারল্যান্ডসের মানুষ।

শনিবার রাতে দাঙ্গা দমনকারী পুলিশের সদস্যরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে এসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভকারীরা তখন হেগ শহরের রাস্তায় কিছু বাইসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশকে পটকাও ছুড়ে মেরেছেন তাঁরা। শহরটিতে জরুরি আদেশ ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কমপক্ষে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের কেউ একজন একটি অ্যাম্বুলেন্সের জানালায় পাথর ছুড়ে মেরেছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা টুইটারে জানিয়েছেন, শনিবারের সহিংসতায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের রটারডাম শহরে বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এদিন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়েছে পুলিশ। পুলিশের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, শুক্রবারের ঘটনায় প্রাণনাশের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এ কারণে সতর্কতা গুলি ও সরাসরি গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। এদিন অন্তত তিন বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হন।

অস্ট্রিয়ায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণার পর রাজধানী ভিয়েনার রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। সোমবার থেকে দেশটিতে ২০ দিনের লকডাউন কার্যকর করা হবে।

ক্রোয়েশিয়ায় সরকারি কর্মীদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে রাজধানী জাগরেবে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। ইতালিতে কর্মস্থল ও গণপরিবহনে গ্রিন পাস সনদ ব্যবহারের নিয়ম জারি হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

Leave a Comment