আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য এখন দেশের মানুষ প্রস্তুতঃ মির্জা ফখরুল

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য মানুষ প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমার বয়স অনেক হয়েছে। এরপরও আমি খুব আশাবাদী। মানুষ সব দাঁড়িয়ে আছে, নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারা যখনই আন্দোলন শুরু হবে, যখনই শুরু হবে সরকারকে পরাজিত করার যুদ্ধ, তখনই ঝাঁপিয়ে পড়বে।’

শুক্রবার ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ১০১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিচ্যুতির ১০ বছরপূর্তি দিবস উপলক্ষে ‘চাকরিচ্যুতদের মানবেতর জীবনযাপন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কখনোই ভেঙে পড়বেন না, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্য থেকে তো আমাদের ওঠে আসতে হবে। আমাকে জেগে ওঠতে হবে, আমার আশপাশের মানুষগুলোকে জাগাতে হবে। আজকে আমার যারা তরুণ যুবক আছেন, তাদের জাগাতে হবে। এ যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই এবং সেটা অতিদ্রুত করতে হবে। যতদিন যাবে, ততই বাংলাদেশ, জাতি সব বিনষ্টের পথে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা আজকে এ ভয়াবহ একটা দানবীয় সরকারের মাধ্যমে আমাদের নিষ্পেষণ করছে, নির্যাতন করছে, তাদের যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, তাদের যদি আমরা ব্যর্থ করে দিতে না পারি, তাদের যদি পরাজিত করতে না পারি, তাহলে এ অবস্থা কিন্তু চলতেই থাকবে। আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। সেজন্য আজকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য গড়ে তোলা।’

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসুন অতীতের যে আন্দোলনগুলোতে আমরা জয়লাভ করেছি, সেই আন্দোলনগুলোর মতো করে একটা জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করে একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করে আমরা জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করি, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা করি। এই হোক আজকে আমাদের শপথ।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি একাত্মতা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয়, অন্যান্য দপ্তরগুলোতে, অন্যান্য বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায়।’

ড. ফারুক আহমেদ শিপনের সভাপতিত্বে ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Comment