“আত্মকথন-২”

মনের আকাশটা আজ বিষন্ন।
ধূসর মেঘের আড়ালে
মন খারাপের কথাগুলো
চুপটি মেরে আছে।

উত্তাল সমীরণে কিছু স্মৃতি
ডানা মেলে পরমানন্দে উড়ছে।
আমি দিনের সিঁড়িটায় উঠতে উঠতে
গোধূলীলগ্নে এসে থেমে গিয়েছি।
গোধূলী যে আমার ভীষণ প্রিয়!

সাঁঝবেলার কিছু আলো-ছায়া খেলা,
কিছু আবিরের মেলা
সৌন্দর্যের পসরা বসায়।
আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি।

কিছু সৌন্দর্য কিনি,
কিছু সৌন্দর্য আলতো হাতে
ছুঁয়ে দেখি আর
কিছু সৌন্দর্য মনের কুঠিরে জমা রাখি; ভবিষ্যতে উপভোগ করব বলে।

সৌন্দর্য বাসি হয়ে গেলে
মানুষের আকর্ষণ স্বভাবতই কমে যায়। আমার কমে না,
আমি বাসি সৌন্দর্য
উপভোগ করতেও ভালবাসি।
পুরোনো পুরোনো গন্ধ পাওয়া যায়।

অন্যের চোখে খুব ঠুনকো জিনিসও
আমাকে বেশ টানে।
ডায়েরীর ভাঁজে অনেকদিন আগে রাখা গোলাপ পাঁপড়িটাই দেখুন!
তরতাজা গোলাপটি যখন
ডায়েরীর চাপে ক্লিষ্ট হয়,
আহত পাঁপড়ির কিছু কষ্ট
ডায়েরীর ভাঁজে লেগে থাকে।
একসময় ঐ কষ্টের দাগ এবং
পাঁপড়ি উভয়ই বিবর্ণ হয়ে যায়।

ঐ পাঁপড়ি আমি ফেলে দিই না।
আমি সেই বিবর্ণ পাঁপড়িতে
খুব যত্ন করে নকশা আঁকি।
রাঙিয়ে তুলি নবরুপে।
তখন সেই বিবর্ণ পাঁপড়িই উদ্ভাসিত হয়,
অন্য আরেক সৌন্দর্যে
নিজেকে মেলে ধরে।

লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

Leave a Comment