তবে তারকা নয়, তারকার বাড়ি । তবে যেসব বলিউড তারকার বাড়ি হয়েছে ভোগ ইন্ডিয়ার ‘কভার স্টোরি’, তাঁদের মধ্যে আছেন হৃতিক রোশন । আর হৃতিকের বাড়ি নিয়ে লিখেছেন মিহিকা আগারওয়াল । আর ছবিগুলো তুলেছেন সুইডিশ আলোকচিত্রী বিয়র্ন ওয়াল্যান্ডার । তবে এই ফিচারের সঙ্গে ব্যবহৃত ছবিগুলো হৃতিক রোশন, সুজান খান, ভোগ ইন্ডিয়া আর বিয়োর্ন ওয়াল্যান্ডারের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া ।
তবে বিচ্ছেদের পরও ভালো বন্ধু হৃতিক ও সুজান । আর ১৩ বছর সংসারের পর ২০১৩ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের । তবে বিচ্ছেদের পরও সন্তানদের সঙ্গে নিয়মিত ভারতের বাইরে বেড়াতে গেছেন তাঁরা । আর সুজান তাঁদের সন্তান রিহান ও রিদানের সঙ্গে হৃতিকের ছবি তুলে দিয়েছেন । তবে সেই ছবি তোলার ছবি নিয়েও হয়েছে প্রতিবেদন—বিচ্ছেদের পরও কীভাবে সুসম্পর্ক, বন্ধুত্ব অটুট থাকে, তার ওপর । তবে করোনা মহামারিকালের শুরুতে দুই পুত্র নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠেছেন হৃতিক । আর তাঁদের সঙ্গে অতিমারিকালের পুরোটা সময় থাকছেন সুজানও ।
তবে মুম্বাইয়ের জুহুর লিংক রোডে হৃতিকদের বাড়ি । আর বিশাল এক অ্যাপার্টমেন্টের ১৫ আর ১৬ তলা মিলে ডুপ্লেক্স । তবে কিছুদিন পর কিনেছেন ১৪ তলাটিও । আর ডুপ্লেক্সটি কিনেছেন ৬৭ কোটি ৫০ লাখ রুপি দিয়ে । তবে সেটি ২৭ হাজার ৫৩৪ স্কয়ার ফুট। আর ১৪ তলার দাম ৩০ কোটি রুপি । সেটি বেশ ছোট । আর ১১ হাজার ১৬৫ স্কয়ার ফুট । তবে সব মিলিয়ে হৃতিকের বর্তমান বাড়ির দাম ৯৭ কোটি ৫০ লাখ রুপি । টাকার অঙ্কে তা ১১০ কোটি । আর এর সঙ্গে রয়েছে ১০টি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা। তবে হৃতিকের বাড়ির বারান্দা থেকে দেখা যায় আরব সাগরের একাংশ । তবে সন্তানদের নিয়ে বাড়ির বারান্দায় সময় কাটাতে ভালোবাসেন হৃতিক ।
তবে হৃতিকের বাড়ির অন্দরসজ্জা সাজিয়েছেন ভারতীয় বিখ্যাত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার অভিনেশ শাহ । আর কয়েকটি বেডরুম, দুটি ড্রয়িংরুম, ডাইনিং, ড্রেসিং কাম মেকআপ রুম, লাইব্রেরি, মিটিং রুম, বারান্দা ছাড়াও হৃতিকের বাড়িতে আছে জিমনেসিয়াম আর একটা বিশাল খেলাঘর । তবে খেলাঘরে আছে ফুটবল টেবিল, বিলিয়ার্ড টেবিল আর এক কোণে ভেন্ডিং মেশিন আর বাচ্চাদের ঝোলার জন্য একটা মাঙ্কি বার । আর ভেন্ডিং মোশিন থেকে বের হয় নানা পদের চকলেট ।
সেলেবদের বাড়ির অন্দরসজ্জায় বিভিন্ন ভাইব থাকে। মিলেনিয়াল, মিনিমালিস্টিক, লাক্সারিয়াস, ইউরোপিয়ান আর্টফর্ম বা মডার্ন। কিন্তু হৃতিকের বাড়িতে এসব কিছু নয়, বরং প্রাধান্য পেয়েছে নিজেদের পছন্দ আর স্বাচ্ছন্দ্য। তবে বাড়ির অন্দরসজ্জা এমনভাবে করা হয়েছে, যেন কোনো দিক দিয়ে আলো বাধা না পায়।এই বিষয়ে হৃতিক ভোগ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অন্দরসজ্জার সব নিয়ম কানুন মেনে বাড়ি হয় না। বাড়ি এমন একটা জায়গা, যেখানে আমি জুতাটা খুলে আয়েশ করতে পারি। যেখানে আমি আমি হতে পারি।’
হৃতিকের বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে ছোট ছোট ‘কোটেশন’ লেখা। যেগুলো নাকি জীবনকে উজ্জীবিত রাখে। বেডরুম আর বারান্দার এক কোনায় হৃতিক সাইমনের চেয়ার আর রোচে ববিসের কাউচ ফেলে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর পানীয় হাতে নিয়ে এখানে বসে হৃতিক সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখেন। বিশাল কার্পেটটা ‘মাহেঞ্জোদারো’ সিনেমার সেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো। অনেকটা ইন্ডিগো রঙের। হৃতিকের ভাষায়, ‘সেটে একদিন আমি নানা রঞ্জক উঠিয়ে রাখছিলাম। তখন রংটা আামার মনে ধরে। ঠিক সেরুলিয়েন (গাঢ় নীল) নয়, আবার টারকোয়েজও (ফিরোজা নীল) নয়। এই দুয়ের মাঝামাঝি একটা রং।’
জয়পুর থেকে অর্ডার করে বানানো কার্পেটটি। বসার ঘরের একটা জায়গায় বেশ কিছু ছবি ঝুলিয়ে রাখা। ছবিগুলোর বিষয়ে হৃতিক বলেন, ‘ছবিগুলো ঠিক যতটা গুরুত্ব বহন করে, ততটা গুরুত্ব দিয়ে রাখা।’ হৃতিকদের ডাইনিং টেবিলে ছয়টি কাঠের চেয়ার। আর টেবিলটি কাচের। এক পাশের দেয়ালে রয়েছে বিশ্বের মানচিত্র। সেটার দিকে তাকিয়েই তাঁরা ঠিক করেন, কোন ছুটিতে কোথায় যাবেন। সেখানে বেশ কিছু উজ্জ্বল রঙের চেয়ারও ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে। সংক্ষেপে এই হৃতিকের বাড়ি।