সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী আর নাই

অনেক অসম্পূর্ণ কাজ এবং অনেক স্বপ্ন নিয়ে কবরী চলে গেলেন। সারা বেগম কবরী বাংলার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। ঢাকার ‘মিষ্টি গার্ল’ কবরী সিনেমায় সক্রিয় ছিল। ক্যামেরার সামনে থেকে পিছনে, পরিচালকের আসনে গিয়েছিলাম। তিনি ১৩ দিনের করোনার দ্বারা আক্রমণ করার পরে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)। শুক্রবার রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স ছিল ৭১ বছর। রংপুর ডেইলীকে, কবির পুত্র শাকের চিশতী এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

হুপিং কাশি এবং জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে, সারা বেগম কবরী করোনার নমুনাটি পরীক্ষা করেছিলেন। ৫ এপ্রিল বিকেলে পরীক্ষার ফলাফল পেলে বুঝতে পারবেন তিনি ইতিবাচক নন। এদিন রাতে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এপ্রিল রাতে চিকিৎসকরা তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়ার পরামর্শ দেন। অবশেষে ৮ ই এপ্রিল দুপুরে আইসিইউকে দাফনের জন্য শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ প্রতিরক্ষা হয়নি।

কবরী ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রের সূচনা করেছিলেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ‘জলছবি’ ও ‘বাহানা’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবিরভাব’, ‘বাঁশারি’ এবং ১৯৬৮ সালে‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচুরনা’, ‘কেবিজিজি এন’ চলচ্চিত্রগুলি ‘,’ বিনিময় ‘ ১৯৭০সালে মুক্তি পেয়েছিল।

১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তিনি ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। সেখান থেকে তিনি ভারতে পাড়ি জমান। কলকাতায় গিয়ে কাবারি বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সময়ের স্মৃতি স্মরণ করে কাবারি একবার বলেছিলেন, ‘আমি সেখানে একটি প্রোগ্রামে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উল্লেখ করেছি। আমি কীভাবে আমার বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে এক টুকরো করে পালিয়ে গেলাম সে সম্পর্কে কথা বললাম। আমরা সেখানে যাই এবং তাদের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করি। ‘

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে কাবারি আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য Titত্বিক ঘটক ১৯৭৩ সালে পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ নায়ক রাজ্জাকের সাথে ‘রংবাজ’ প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

Leave a Comment

betvisa