লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতায় ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী কিশোর কাওছার মন্ডকে(১৫) কে মদ্যপ তোজাম(৪২)- এন্তা(৩৮) গং মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন করার ঘটনা ঘটেছে।
মুখোমন্ডলসহ সারা শরীরে ছোপছোপ নির্যাতনের দাগ। অপরিচত কাউকে দেখলে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর ) রাত সাড়ে ১১ টায় লালমনিরহাট জেলা সদরের কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা ওয়াজ মাহফিল চত্বর সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে ।
গুরুতর আহত কিশোর শিক্ষার্থী কে স্বজন ও মুসল্লি গণ তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে রাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধী রয়েছে সে।
এই ঘটনায় দূর্বৃত্তদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করে স্কুলের সহপাঠী শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল মেধাবী এই কিশোর কে নির্যাতনে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর ) বিকালে ৫ টায় কুলাঘাট স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল আহবান করেছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে কুলাঘাট স্কুলের দক্ষিনের গাঁয়ে গ্রামবাসীর আয়োজনে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই মাহফিল শুনে রাতে বাড়ি ফেরাপথে কিশোর ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী কাওছার মন্ডল পথিমধ্যে মদ্যপ তোজামের সামনে পরে যায়। এসময় তার এক স্কুলের সহপাঠী কিশোরীর ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সেও মাহফিল শুনে বাড়ি ফিরছিল। মেয়েটির বাড়ি মাহফিল সংলগ্ন রাস্তার এপার ওপার। এই সময় তোজাম, শিক্ষার্থী কাওছার মন্ডলকে কিশোরীর সাথে কথা বলতে দেখে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, তোজামের মুখ হতে মদের গন্ধ আসছিল। মদ্যপ তোজাম কিশোরীর স্বজন। এই অজুহাতে মদ্যপ তোজাম – এন্তা গংরা ও-ই কিশোর শিক্ষার্থী কে ধরে নিয়ে গিয়ে মধ্যেযুগীয় কায়দায় নির্মম পৈশাচিক নির্যাতন করে। এ সময় কিশোরটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। তাকে স্থানীয় মুসল্লি গণ উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক সদর হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করে।সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ সময় কিশোর শিক্ষার্থীর সাথে তার কয়েকজন সতীর্থ ছিল। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলার সময় সতীর্থরা প্রাণভয়ে পালিয়ে গিয়ে স্বজনদের ঘটনা জানায়। মদ্যপ দূর্বৃত্ত ও গংরা ধাইরখাতা গ্রামের সাঈদ বুড়ার পুত্র। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী লালমনিরহাট সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে কুলাঘাট বাজারের বাদশা মন্ডলের ছেলে। শিক্ষার্থীর বাবা বাদশা মন্ডল জানান, সন্তানের সুচিকিৎসা দিতে ব্যস্ত রয়েছি।তার মুখমন্ডল ও সারা শরীরে লাল দগদগে পৈশাচিক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। কাউকে দেখলে আতস্কে কুঁকড়ে যায়।
রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিয়েছি। এন্তা মেকার গংরা এলাকায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে পূর্বের একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।