অগ্নিকাণ্ড কবলিত লঞ্চটির ২০২২ সাল পর্যন্ত ফিটনেস মেয়াদ ছিল বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে বরগুনা আসার পথে ঝালকাঠি সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭০ জন দগ্ধ যাত্রীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিদর্শন শেষে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সংস্থা থেকে দেড় লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এ ছাড়া নিহতদের দাফন কাফনের জন্য জেলা প্রশাসক সব ব্যবস্থা করবেন।
তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি সরেজমিনে দেখলাম আমারও একটি ধারণা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলা যাবে।
তিনি জানান, লঞ্চটির ২০২২ সাল পর্যন্ত ফিটনেস মেয়াদ ছিল।
হাসপাতালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালে যান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এ সময় তিনি দগ্ধ হওয়া যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, হতাহতের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে ৫০ জন ডাক্তার বরিশালে আসছে। তারা এসে রোগীদের চিকিৎসা সেবা শুরু করবেন।
এ ছাড়া বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস ও অন্যান্য নেতা কর্মীরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান এবং রোগীদের খোঁজ খবর নেন।
হাসপাতালে চিকিৎসকদের পাশাপাশি বরিশাল রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য, স্কাউটের সদস্যরা কাজ করছেন।