লকডাউনেও থেমে নেই আশা সমিতির কিস্তি আদায়, চরম ভোগান্তিতে ঋণ গ্রহীতারা

লালমনিরহাট জেলায় করোনা সংক্রমনের হার বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভায় গত শনিবার থেকে চলছে বিশেষ লকডাউন। লকডাউনের আজ ৫ম দিন। লকডাউনে জেলা প্রশাসনের প্রজ্ঞাপনে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। লকডাউনের কারনে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ খেয়ে না খেয়ে অর্ধাহারে দিনপাত করছে।

এদিকে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লালমনিরহাট পৌরসভায় আশা সমিতি কিস্তি আদায় করা চোখে পড়ছে। কাজ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঋন গোহীতারা।

খোজ নিয়ে যানা যায়, জেলা প্রশাসন ঘোষিত লকডাউনের কারনে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে সকল এনজিওকে ঋন কার্যক্রম স্থগিত করতে চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু আশা সমিতিকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না জেলা প্রশাসন।

তাদের এতই ক্ষমতা জেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ৩০ জুন সকালে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে ফজলুল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে আশা সমিতির মাঠ কর্মীর কিস্তি আদায়ের দৃশ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঋন গ্রহিতা সাংবাদিকদের বলেন, পৌরসভায় লকডাউনের কারনে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আমাদের কোন কর্ম নাই। আপনারাই বলুন কিভাবে আমরা আশা সমিতির কিস্তি দিবো। তারা নাছোর বান্দা কিস্তির টাকা না পাওয়া পর্যন্ত বাড়ীতে বসে থাকে। লোক লজ্জার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

আরো জানা যায়,আশা সমিতির জেলা মানেজারের সাথে স্থানীয় এক টিভি সাংবাদিকের সাথে মিল থাকায় তিনি জেলা প্রশাসনকে ভয় পান না।

এ বিষয়ে কয়েক জন সাংবাদিক আশা সমিতির অফিসে গিয়ে জেলা ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলামকে লকডাউনে কিস্তি আদায় নিষেধ আপনার কর্মীরা কেন মাঠে গিয়ে কিস্তি আদায় করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি কোন চিঠি পাইনি। তাই কিস্তি কার্যক্রম চালু রেখেছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, সাংবাদিকদের বলেন, কিস্তি আদায় করতে পারবে না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Comment

betvisa