কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবানের কাছে হার না মানার অঙ্গীকার করা ন্যাশনাল রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) নেতা আহমেদ মাসুদ শান্তি আলোচনায় রাজি বলে জানিয়েছেন।
যুদ্ধে এনআরএফ মুখপাত্র ফাহিম দাশতি এবং নিজের ভাতিজা জেনারেল আবদুল উদোদ জারা নিহতের পর সুর নরম করেছেন তিনি।
এদিকে হেলিকপ্টার থেকে হামলার পর আরেক বিদ্রোহী নেতা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহকে নিজ বাড়ি থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে।
তালেবানের বরাত দিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, পাঞ্জশির প্রদেশের সাতটি জেলার সবক’টির দখল নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। তারা এখন প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ পেতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
দৃশ্যত যুদ্ধে অনেকটা কোণঠাসা আহমেদ মাসুদ শান্তি আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, সংকট সমাধানে ধর্মীয় নেতারা সংলাপের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটা তিনি স্বাগত জানান।
আহমেদ মাসুদ বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তালেবান পাঞ্জশির এবং পার্শ্ববর্তী বাঘলান প্রদেশের আন্দারাব জেলায় সামরিক অভিযান এবং হামলা বন্ধ করলে, এনআরএফ হামলা বন্ধে প্রস্তুত আছে।’
অবশ্য এনআরএফ নেতার বক্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক তালেবানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও এর আগে তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চায় বলে জানিয়েছিল।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণ নিলেও দেশটির ৩৪ প্রদেশের মধ্যে কেবল পাঞ্জশির তালেবানের কবজায় আসেনি। আর দুর্গম সেই পাহাড়ি উপত্যকায় জড়ো হন তালেবান বিরোধীরা। ঘোষণা দেন তালেবানকে রুখে দেওয়ার।