বাড়ি থেকে তাদের প্রেমের স্বীকৃতি না দেওয়ায় ফরিদপুরের ভাঙায় এক প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার সকালে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের মাইঝাইল গ্রামের মজুমদার পাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।
একটি জাম গাছের ডালে গলায় শাড়ি পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় প্রেমিকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আর ওই গাছের নিচে পাওয়া যায় প্রেমিকার লাশ। ধারণা করা হচ্ছে, বিষপান করেছিল ওই কিশোরী।
প্রেমিকের নাম অধির সিকদার। তার বয়স ২৩। তিনি মাইঝাইল গ্রামের মৃত নিতাই সিরদারের ছেলে। প্রেমিকার নাম মুন রানী মজুমদার। তার বয়স ১৫। সে মাইঝাইল গ্রামের বাসিন্দা ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী মনোজ মজুমদারের মেয়ে।
মৃতদেহ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা কাউলীবেড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাজী আবু জাফর বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় অধিরকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে তার স্বজনরা তাকে খোঁজাখুজি করেন। কিন্তু সারারাতে অধিরের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার ভোর ৫টার দিকে গ্রামের মজুমদার পাড়ার একটি জাম গাছে অধিরের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এর নিচেই পড়েছিল মুন রানী মজুমদারের মৃতদেহ।
মৃত অধির সিকদারের আত্মীয় সাগর সিকদার বলেন, ‘এক বছরের ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। দুই পরিবারের কেউ রাজি না। দুজনেই পড়াশুনা করছে, মেয়ের বয়সও কম। সব মিলিয়ে বিয়েতে সম্মত ছিল না কোন পক্ষই।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, ‘প্রথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই দুই কিশোরী ও তরুণের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। কিন্তু দুই পরিবারই এতে রাজী ছিলেন না বলেন, তারা এ চরম পথ বেছে নেন।’