মালালার নিজ দেশেই তার বিরোধী তথ্যচিত্র

শান্তিতে নোবেলজয়ী সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তি হলেন মালালা ইউসুফজাই৷ হার না মানা এই মেয়েকে এখন গোটা বিশ্ব চিনে। নারীদের শিক্ষা নিয়ে কথা বলায় মাত্র ১৪ বছর বয়সে তালেবানদের হাতে  গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

যদিও ঘটনার পর নিজ দেশ ছেড়ে  তাকে চলে আসতে হয়েছিল  তারপরেও মালালা সবসময় এটাই চেয়ে এসেছেন যে,  তার দেশের সব মেয়েরা যাতে শিক্ষার সুযোগ পায়, নারীদের যেন ঘরে আটকে না রাখা হয়। সবসময় তিনি নারীশিক্ষা নিয়েই কথা বলে গেছেন। কিন্তু এবার তার বিরোধিতা করেই তৈরি হল একটি তথ্যচিত্র ‘আই অ্যাম নট মালালা’। তৈরি করল তারই নিজ দেশ পাকিস্তান । 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে জানা যায়, দেশটির ‘অল পাকিস্তান প্রাইভেট স্কুলস অ্যাসোসিয়েশন’ সোমবার (১২ জুলাই) এ তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করে। সেখানে মালালার কিছুদিন আগে ভোগ  ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসলাম ও বিয়ে সম্পর্কিত মতামত এবং তার পশ্চিমা চিন্তা প্রচার করাকে লক্ষ্য করে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।

কেন মালালাকে নিয়ে এত বিরোধিতা ?  এ প্রসঙ্গে তথ্যচিত্র-নির্মাণকারী সংগঠনের সভাপতি কাসিফ মির্জার জানান, ‘‘এই ‘আই অ্যাম নট মালালা’ তথ্যচিত্রের সাহায্যে আমরা দেশের ২ লক্ষ বেসরকারি স্কুলের ২ কোটি পড়ুয়াকে মালালার ইসলাম, বিয়ে ও পশ্চিমা অ্যাজেন্ডা নিয়ে বিতর্কিত মতামত সম্পর্কে জানাতে চেয়েছি।দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের সামনে আমরা মালালার মুখোশ খুলে দিতে চাই। যাতে উনি ওর ওই তথাকথিত মহিলাদের অধিকার আদায় করার সংগ্রামের গল্প শুনিয়ে ওদের প্রভাবিত না করতে পারেন।’’

উল্লেখ্য যে,  সম্প্রতি ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক বিখ্যাত ‘ভোগ’ পত্রিকার জুন সংখ্যায় মালালা ইউসুফজাইকে  প্রচ্ছদে স্থান দেওয়া হয়েছে। মালালার একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যায়। । ঐ সাক্ষাৎকারেই  বিয়ে প্রসঙ্গে মালালা বলেছিলেন , ‘আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না, কেন সবাই বিয়ে করে? জীবনসঙ্গীকে বেছে নিতে হলে, কাগজে সই করার দরকার কী? এটা একটা পার্টনারশিপও তো হতে পারে। ’ 

পাকিস্তানের একজন মুসলিম মেয়ের কাছ থেকে এধরণের বক্তব্য অনেকেই মেনে নিতে পারেননি । তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে। অনেকেই বলেছেন, মালালা পশ্চিমা সংস্কৃতি ধারণ করে এখন, সে পূর্বে কোন সমাজের ছিল তা ভুলে গেছে। এই ক্ষোভ থেকেই মূলত তার নিজ দেশই এবার তার বিরোধিতা করে তৈরি করলো ‘আই অ্যাম নট মালালা ‘  নামক তথ্যচিত্র। 

Leave a Comment

betvisa