মানবদেহে প্লীহার কাজ কী?

Spleen~ বাংলায় যাকে আমরা প্লীহা বলে চিনি তা লসিকাতন্ত্র এবং রক্তসংবহনতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।আমাদের উদরের বামদিকে প্লীহার অবস্থান।একে আবার হিমোলিম্ফয়েড অঙ্গও বলা হয়ে থাকে।কারণ লিম্ফ বা লসিকা নোড যেমন লসিকাকে পরিস্রুত করে,প্লীহাও তেমনি রক্তকে পরিস্রুত করে।এর আরেকটি কাজ হলো এটি শিশুর জন্মের আগে তার দেহে ইরাইথ্রোসাইট এবং জন্মের পরে লিম্ফোসাইট তৈরী করে।

প্লীহাতে একটি মজার প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়।সেটি হলো প্লীহা ১-১১ বিজোড সংখ্যা মেনে চলে।
প্লীহার-
পুরুত্ব: ১ ইঞ্চি
প্রস্থ: ৩ ইঞ্চি
দৈর্ঘ্য: ৫ ইঞ্চি
ভর: ৭ আউন্স
সীমা: ৯-১১ নম্বর পর্শুকা
প্লীহায় বিজোড় সংখ্যার এই বিন্যাসকে বলা হয় Harris dictum.

প্লীহাকে দুইটি সার্ফেস থাকে-
১.ভিসেরাল সার্ফেস
২.ডায়াফ্রামেটিক সার্ফেস
প্লীহায় থাকে তিনটি বর্ডার-
১.সুপিরিয়র বর্ডার
২.ইনফিরিয়র বর্ডার
৩.ইন্টারমিডিয়েট বর্ডার
দুইটি প্রান্ত থাকে-
১.সামনের প্রান্ত
২.পিছনের প্রান্ত
দুইটি কোণ-
১.সামনের কোণ
২.পিছনের কোণ

প্লীহা ছোট করার উপায় কী, গরুর প্লীহা, প্লীহা বড় হওয়ার কারন, প্লীহা শব্দের ইংরেজি, প্লীহা ছবি, প্লীহা হোমিও, প্লীহা রোগ, প্লীহা (Spleen), প্লীহা সমস্যা, মানবদেহে প্লীহার কাজ কী?, প্লীহা কোথায়?, প্লীহা ফাংশন,

প্লীহার ভিসেরাল সার্ফেসে চারটা ইমপ্রেশন থাকে-
১.গ্যাস্ট্রিক ইমপ্রেশন
২.রেনাল ইমপ্রেশন
৩.কোলিক ইমপ্রেশন
৪.প্যানক্রিয়েটিক ইমপ্রেশন

প্লীহার সুপিরিয়র বর্ডারে একটি নচ বা খাঁজ থাকে।সেই খাঁজ দ্বারা বোঝা যায় যে মার্তৃগর্ভে থাকাকালীন আমাদের প্লীহা অনেকগুলো খন্ডে বিভক্ত থাকে।

প্লীহায় তিন ধরনের আবরণ থাকে-
*সেরাস আবরণ
*ফাইব্রোইলাসটিক আবরণ
*স্প্লিনিক প্যারেনকাইমা
স্প্লিনিক প্যারেনকাইমাকে থাকে লাল পাল্প এবং সাদা পাল্প।

বিভিন্ন কারণে প্লীহা বড় হয়ে গেলে তাকে বলে spleenomegali. প্লীহা বড় হয়ে গেলে উদরের উপর হাত রাখলে প্লীহাকে অনুভব করা যায়।সাধারণত যে অংশটা অনুভর করা যায় সেটি হলো প্লীহার সামনের কোণ।

©দীপা সিকদার জ্যোতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *