বরিশালে ৮ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে পাষবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে একটি মাদ্রাসার হাফেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। আর শিশুকে চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের ডেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা এক রাজমিস্ত্রি তার ছেলেকে পাশের গ্রাম পূর্ব ধর্মাদী জামেউল উলুম মাদ্রাসায় হাফেজিয়া শিক্ষার জন্য ভর্তি করান। সেই মাদ্রাসার দায়িত্বে ছিলেন মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা এলাকার জাগুয়া ইউনিয়নের আব্দুস সালামের ছেলে জোবায়ের আহম্মেদ।
এই ঘটনার বিষয়ে শিশুটির বাবা বলেন, এর আগেও আমার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছিল। কিন্তু সে আমাদের বলেনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) আমি মাদ্রাসায় খাবার দিতে এলে আমার ছেলে জানায় তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার পরে আমার ছেলেকে জোবায়ের আহম্মেদ বলাৎকার করার চেষ্টা করে। আমার ছেলে রাজি না হওয়ায় তার পশ্চাৎদেশে দুটি কামড় দেয়। পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডার পেটের ওপর রেখে নির্যাতন করে। এতে ছেলে মলত্যাগ করে দিলে সেই মল হাতে দিয়ে চাটায় হাফেজ শিক্ষক জোবায়ের আহম্মেদ।
শিশুটির বাবা আরও বলেন, আমি বিষয়টি মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুস সালামকে জানালে জোবায়ের ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রাতে আরও নির্যাতন করে। একপর্যায়ে ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে এসে শুক্রবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
এই বিষয়ে ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান , অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত হাফেজ জোবায়ের আহম্মেদকে গ্রেফতার করে আজ (রবিবার ) দুপুর ২ দিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি ।