‘বিশ্বের প্রতিটি দেশে গণতন্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। সে কারণে বাংলাদেশেও স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন প্রত্যাশা করে যুক্তরাজ্য।’ বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক লেকচার শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। লর্ড আহমেদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যৌন সহিংসতা প্রতিরোধবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। চারদিনের সফরে রোববার (১৪ নভেম্বর) তিনি ঢাকায় আসেন।
লর্ড তারিক আহমদ বলেন, নানান চর্চার মাধ্যমেই গণতন্ত্র স্থির হয়। বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, সেটা এ দেশের জনগণই ঠিক করবে। তবে কোনো দেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি আবশ্যক। বাংলাদেশ নিয়ে এতটা আগ্রহের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন লর্ড তারিকও। তিনি বলছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল শুধু নয়, বিশ্বের মানচিত্রে এখন বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই নানান বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য। তারিক আহমেদ বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের নেতৃত্বকে স্বাগত জানায় যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) চেয়ারের দায়িত্ব পেতে চলেছে। আমরা আশা করি- বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে এর নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করছে। এই সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নয়নে যুক্তরাজ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। এই খাতে যুক্তরাজ্য আর ৫৪ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে দুই দেশের সম্পর্কে আরও অগ্রগতি হবে। যুক্তরাজ্য ভ্রমণের রেড লিস্ট থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়ায় দেশটিকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রসচিব।