বাঁচল শুধু পাঁচ মাসের শিশুটি পুরো পরিবার শেষ

ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন গাজার পশ্চিমে শরণার্থীশিবিরে। তবে শুধু বেঁচে গেছে ওই পরিবারের পাঁচ মাস বয়সী এক শিশু। আর শিশুটি গুরুতর আহত। এই খবর বিবিসি ও রয়টার্সের। আজ রোববার সপ্তম দিনের মতো সংঘর্ষ চলছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে।

বেঁচে যাওয়া শিশুটির নাম ওমর আল হাদিদি স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার গাজার পশ্চিমে শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে । আর হামলায় শিশুটির মা, চার ভাইবোন ও স্বজনেরা নিহত হন। আর হামলার সময় শিশুটির বাবা মোহাম্মদ আল হাদিদি বাড়িতে ছিলেন না। ওই শরণার্থীশিবির থেকে কোনো রকেট হামলা চালানো হয়নি তিনি রয়টার্সকে বলেন। আর সেখানে শুধু শিশু ও নারী ছিল। আর কোন অপরাধে তাদের এভাবে মেরে ফেলা হলো?’

পাঁচ মাস বয়সী শিশুটির অবস্থা ভালো না ওমরের চিকিৎসক বলেন। আর তার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। তবে সারা শরীরে আঘাতের দাগ।’ আজ ভোরে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন। আর ফিলিস্তিনিরা তেল আবিবকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে। আর তেল আবিব থেকে অনেকে নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে গেছেন। গত সোমবার সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ১৪৯ জন নিহত হয়েছেন রয়টার্সের খবরে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে ৪১ জন শিশু স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন।

আর যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং মিসরের দূতেরা পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করছেন। আর তবে এ পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। আর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসবে। তবে ইতিমধ্যে তেল আবিব পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সম্পর্কবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাদি আমর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন। আর গতকাল তিনি তাঁদের সঙ্গে পৃথক ফোনালাপ করেন বলে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনিরা গাজা থেকে ২৭৮টি রকেট ছুড়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) দাবি। আর আশদদ, বিরসেবা ও সদেরত শহরে হামলা চলেছে।তবে গতকাল ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অবস্থিত ১২ তলা একটি ভবন হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। আর ওই ভবনে এপি ও আল-জাজিরার কার্যালয় ছিল। আল-জালা নামে ওই ভবন তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি। আর সেখানে হামাসের সামরিক বাহিনীর কার্যালয় রয়েছে। আর এ কারণে হামলার আগে তারা ওই ভবন থেকে মানুষকে সরে যেতে সতর্ক করেছিল। হামলার নিন্দা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু । আর জেরুজালেমের আল-আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদা আদায়কে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। তবে বলা হচ্ছে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। বড় ধরনের সংঘর্ষের সূচনা হয় সোমবার পূর্ব জেরুজালেমে। সেই সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Comment

betvisa