সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোয় রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবো এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঊর্মি আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। গত রবিবার রাতে নিজ বাসায় আত্মহত্যা করে সে। এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি ও আত্মহত্যা প্ররোচনায় দুটি মামলা করেছে তার পরিবার।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা মরদেহটি নিয়ে যায়।
ঊর্মির মামা রাজিব হোসেন অভিযোগ করেন, বাসাবো উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। দুই বোনের মধ্যে ঊর্মি ছিল বড়। ঊর্মির বাবা মা যাত্রাবাড়ি ধলপুর এলাকায় থাকেন। আর ঊর্মি সবুজবাগ উত্তর বাসাবোয় নানীর বাসায় থেকে পড়াশোনা করত। যাত্রাবাড়ী এলাকার শামীম ও ফাহিম নামে দুই যুবক ঊর্মিকে উত্ত্যক্ত করত। তারা কৌশলে ঊর্মির সঙ্গে অশ্লীল ছবি তুলে। ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন সময় টাকাও আদায় করত তারা। সম্প্রতি তারা আরও টাকা দাবি করলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় ঊর্মি।
রাজিব আরও জানান, টাকা না দেওয়ায় তারা অশ্লীল ছবি এলাকায় বিভিন্ন জনের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার রাতে ঊর্মির মা ঊর্মিকে বকাঝকা করে। অভিমানে ঊর্মি রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় সে। ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া ৯টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সবুজবাগ থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) সাইফুর রহমান জানান, এই ঘটনায় সবুজবাগ আত্মহত্যা প্ররোচনা ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন মেয়েটির বাবা আবুল হোসেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।