প্রাণ হারিয়েছেন আ’লীগের ১২ নেতাকর্মী

প্রাণ হারিয়েছেন আ’লীগের ১২ নেতাকর্মী

বগুড়া প্রতিবেদকঃ আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা দখলের কারণে বগুড়ায় হত্যার সংখ্যা বাড়ছে। গত এক বছরে আওয়ামী লীগ ও এর অধিভুক্ত বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে এ জাতীয় হত্যার সংখ্যা ১২ টিতে দাঁড়িয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারও এই নৃশংস হত্যার যথাযথ ন্যায়বিচার নিয়ে উদ্বিগ্ন।

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক তকবীর ইসলাম খানকে ১৮ মার্চ ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিল। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করা ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার এখন শোক করছে। তাঁর নিজের দলের নেতা খুন হওয়ার কারণে তার ছেলের হত্যার বিচার পাওয়ার জন্য তার বাবা-মা চিন্তিত

এর আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি যুবলীগ কর্মী আল ফোরকানকে হত্যা করা হয়েছিল। নগরীর ফুলতলা এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল। শাকিল নামে এক যুবলীগ কর্মী গত বছরের ১৩ জুন নিহত হয়েছেন। পরের দিন সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেবকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

এর আগে ৫ জুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ মিস্টার ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে মারা যান। ২৮ শে মে পৌর যুবলীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শেখ নিহত হন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু বলেছেন যে হত্যার মূল কারণ হ’ল এক প্রেসিডেন্টের নির্বাচন, যিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্ভর করেছিলেন, আধিপত্য বিস্তার এবং একটি পদ প্রত্যাশার আশ্বাস।

বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া বলেছেন, দলীয় বিবেচনা না করে প্রতিটি হত্যার গুরুতর তদন্ত করা হচ্ছে। গত এক বছরে এ জেলায় ৪৭ টি খুনসহ মোট ২৩০ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *