পটুয়াখালীর আলীপুর বন্দরে সুনীল দাস (৫৭) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেনাদারের বসতঘরের সামনে ফেলে রেখে পাওনা টাকা দাবি করেছেন তার পরিবার।
শনিবার সকাল ১০টার এ ঘটনার পর থেকে বসতঘর ছেড়ে পালিছেন দেনাদার ইউসুফ মুসুল্লীসহ তার পরিবারের লোকজন।
পরে মহিপুর থানা পুলিশ ও লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যানের সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাসে বেলা এগারোটার লাশ সৎকারের জন্য ফিরিয়ে নিয়ে যায় স্বজনরা।
মৃত সুনীল দাসের স্ত্রী মাদুরী (৫২) দাসের দাবি, তার স্বামী সুনীল দাস আলীপুর বন্দরে তিন শতকের একটি ভিটা জমি কেনার জন্য জমির মালিক একই এলাকার ইউসুফ মুসুল্লীকে ১২ লাখ টাকা দেন।
কিন্তু এক যুগেও জমি বুঝিয়ে না দেয়ায় টাকা ফেরত চেয়ে আসছিলেন সুনীল।
ইতোমধ্যে সুনীল দাস অসুস্থ হয়ে পড়লে টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় শুক্রবার রাতে নিজের বসতঘরে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ইউসুফ মুসুল্লীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে স্বজনরা লাশ ফিরিয়ে নিয়ে যায়।