“নিয়তি” পর্ব-১০


দুপুরে সবাই একসাথে খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষে আম্মুকে জানালাম আমি আলেয়া খালার বাসায় যেতে চাই। আম্মু বিকেলে যেতে বললো। কিন্তু আমি এখনই যাব বলে বায়না ধরলাম।

আম্মু আর কিছু বললো না। শুধু বললো সাবধানে যেন যাই আর খালার সাথে সন্ধ্যার আগেই যেন ফিরে আসি। আমি আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বললাম,” তাই হবে মা।”

খালা কিচেনে রেডি হচ্ছিলো বাসায় যাবার জন্য। আমি গিয়ে খালাকে যখন বললাম তার বাসায় যেতে চাই। বিস্ময়ে খালার মুখ হা হয়ে গেল। আমি বললাম, “এত অবাক হবেন না, খালা। আমি আপনার মেয়েকে দেখতে এবং তার সাথে কথা বলতে যাব। আপনি আমাকে নিয়ে যাবেন না, খালা?”

খালা খুশি হয়েছেন এবং মাথা ঝাঁকিয়ে আমাকে সম্মতি জানালেন। আমরা খালার বাসায় রওনা হওয়ার জন্য গেটে আসতেই মনে হলো, আয়ানকে তো বলে বের হলাম না। একবার বলা উচিত ছিল।

আমি খালাকে একটু দাঁড়াতে বলে আবার বাসায় ঢুকলাম। আমার রুমে এসে দেখি আমার সাধের জামাই কী আয়েশ করে ঘুমোচ্ছে! পেটে একটা গুঁতা দিলাম। তাতেই কাজ হয়েছে। চোখ মেলে তাকিয়ে হেসে ফেললো আয়ান। আমি বললাম, “খালার বাসায় যাচ্ছি। সন্ধ্যার আগেই ফিরব। তুমি টেনশন করো না।”
সে বললো, “আচ্ছা। দেরী করো না আর সাবধানে এসো।”

আমি আর কিছু না বলে বাসা থেকে বের হলাম। খালার সাথে একসাথে হাঁটতে একটু আনইজি ফিল করছিলাম। খালার পুরো শরীর ঢাকা। কিন্তু আমার?

আমি জর্জেটের সাদা ধুতি পাজামার সাথে জর্জেটরই হালকা গোলাপী সর্ট হাতের একটি সর্ট জামা পড়েছি। শিপনের পাতলা একটি ওড়না গলায় প্যাঁচানো। মাথার উপরে কাঁটা দিয়ে চূড়া করে এলোখোপা বেঁধেছি। আমার চুল লেয়ার করে কাটা। এজন্য মুখের সামনে কয়েক গোছা চুল বাতাসে উড়াউড়ি শুরু করেছে।

খালার থেকে একটু পিছনে থাকার জন্য আমি হাঁটার গতি কমিয়ে দিলাম। চুলগুলো কষ্ট করে খোপার ভিতরে গুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এরপর ওড়নাটি মাথায় দিয়ে শরীর ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা করলাম। কিন্তু ওড়নাটি এত পাতলা যে, বাতাসের দরুণ শরীর ঢাকতে বার বার ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছি। খালার পাশে নিজেকে বড্ড বেমানান লাগছে। হঠাৎ মাথায় একটি শুভ বু্দ্ধির উদয় হলো।
[চলবে]

Writer: Mahazabin Sharmin Priya

Leave a Comment

betvisa