নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। বাজারে চাল কিনতে গেলে এখন কেজিতে অন্তত ৩ টাকা বেশি দিতে হবে। গত প্রায় চার মাসের ব্যবধানে এ নিয়ে চালের দাম দুই দফায় বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খুচরায় ২ টাকা বেড়ে মোটা চালের কেজি হয়েছিল ৪৬ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও বাবুবাজার-বাদামতলীর আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারিতেই মোটা চালেরকেজি ৪২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। তবে দামের দিক থেকে বেশি বেড়েছে মিনিকেটের। ৫৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মিনিকেটের দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও আড়তমালিকেরা বলছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠে অনেকের ধান ভিজে গেছে। এতে কিছু ধান নষ্ট হয়েছে। কিছু জায়গায় পানির কারণে ধান কাটা পিছিয়ে গেছে। মূলত এ দুটি কারণেই স্থানীয় মিলমালিকেরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাড়ার পর সেটা আবার কমে গিয়েছিল। এখন আবার মিলমালিকেরা চাল কেজিতে মানভেদে ২-৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। খুচরায় কেজিতে চালের দাম অন্তত ৩ টাকা বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, পাইকারিতে মোটা চালের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হতো ১ হাজার ৯৫০ টাকায়। এখন একই বস্তার দাম হয়েছে ২ হাজার ১০০ টাকা।
গতকাল ধানমন্ডির রায়ের বাজার ও কারওয়ান বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৫ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫১ টাকা, মিনিকেট ৬৪ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৬৯ টাকায় বিক্রি করা হয়।রায়ের বাজারের চাল বিক্রেতা ইউনুস আলী বলেন, প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে। মানভেদে বিআর-২৮ চালের কেজি এখন ৫০ থেকে ৫২ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে সরু চালের (নাজিরশাইল ও মিনিকেট) দাম দেড় শতাংশের বেশি বেড়েছে। মাঝারি চালের (বিআর-২৮ ও পাইজাম) দাম বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে মোটা চালের দাম।সংস্থাটির প্রতিদিনের বাজারদরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাজারে এখন প্রতি কেজি মোটা চাল সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৪৮ টাকা।