জুম’আর দিনে নারী হিসেবে আপনার করণীয় কী?

জুম’আর দিনে নারী হিসেবে আপনি যা যা করতে পারেনঃ

১) বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করা রাসূল এর উপর।
২) সূরাহ কাহাফ পাঠ করা।
৩) আসরের পরে সময় আল্লাহ এর কাছে নিজের জন্য,অন্যের জন্য ও পুরো মুসলিম উম্মাহ এর জন্য বেশি বেশি সুন্দর ভাল দোয়া করা। দোয়া করা ইবাদাত। মুমিনের দোয়া কোন সময় বৃথা যায় না।

আর কী কিছু করার আছে নারী হিসেবে ? অবশ্যই আছে !

আপনার ঘরে পুরুষদের ও বাকিদের ভাল কাজ করতে অনুপ্রাণিত করুন।
যেমনঃ

○ ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়া আল্লাহ এর কাছে অনেক প্রিয়। ঘরে পুরুষদের অনুপ্রাণিত করুন।

○ জুম’আর নামাজে তাড়াতাড়ি যেতে অনুপ্রাণিত করুন। প্রথম তিনজনের জন্য আছে সুন্দর ও বড় উপহার আল্লাহর তরফ থেকে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম জনের জন্যও আছে।

○ জুম’আর নামাজে যাওয়া এর জন্য যেসব সুন্নাহ আছে তাদের তা মনে করিয়ে দিন।
যেমন: গোসল করা, মেসওয়াক করা, নক কাটা, ভালো জামা পরিধান করা, সুগন্ধী লাগানো ইত্যাদি।

○ একেবারে উপরে তিনটি কাজ পুরুষদের এবং বাকিদের করতে অনুপ্রাণিত করুন।

তারা যদি আপনার অনুপ্রেরণা সেসব কাজ করে তবে আপনি সমপরিমাণ সওয়াব এর অধিকারি হবেন।

অনেকে ছুটির দিন বলে নিজের রমাদানে না করা রোজা এই দিনে করবেন বলে ভেবে থাকেন। না করাই ভালো, রাসুল এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলেছেন।
আর করতে চাইলে আপনাকে এর আগের দিন অথাৎ বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে হবে বা এই দিনের পরের দিন অথাৎ শনিবার রোজা রাখার নিয়ত থাকতে হবে এবং পরের দিন শনিবার তা রাখতে হবে।

এবং আমরা অবশ্যই অবশ্যই রিয়া অথাৎ লোক দেখানো ( ছোট শিরক ) আমল করা থেকে দূরে থাকব এবং নিজের করণীয় আমল গুলো গোপন রাখার চেষ্টা করব। মানুষকে দেখানোর জন্য করব না, আল্লাহকে খুশি করার জন্য সব করব।

আল্লাহ আপনাদের চেষ্টাকে কবুল করুক এবং আপনাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

হাদিসঃ-

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হল জুমু’আহর দিন। কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশী দরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।
[ সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৭,হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ]

রাসূলুল্লাহ্‌ ( সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম )  বলেছেন,
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়ে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমাত নাযিল করেন।
[ সহিহ মুসলিম: ৭৯৮,হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ]

সূরাহ কাহাফ পাঠঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ্ হতে আগামী জুমাহ্ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।
[ মিশকাতুল মাসাবিহ২১৭৫,হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ]

জুমার নামাজে তাড়াতাড়ি যাওয়ার উপহারঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
সর্বাগ্রে সালাতে যে ব্যক্তি উপস্থিত হয় সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি উট কুরবানী করে, তারপর যে ব্যক্তি আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। এরপর যে ব্যক্তি আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি দুম্বা কুরবানী করে। পরে যে ব্যক্তি আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মুরগী আল্লাহর রাস্তায় দান করে। তারপর যে ব্যক্তি আগমন করে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি ডিম আল্লাহ্‌র রাস্তায় দান করে।
[ সুনানে আন-নাসায়ী:৮৬৪, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ]

জুমার দিন রোজা রাখা নিয়েঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যেন শুধু জুমু’আর দিনে সওম পালন না করে কিন্তু তার পূর্বে একদিন অথবা পরের দিন ( যদি পালন করে তবে জুমু’আর দিনে সওম পালন করা যায় )।
[ সহিহ বুখারী: ১৯৮৫, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ]

– সংগৃহীত

লেখা সংগ্রহেঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

By মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

My name is Mahazabin Sharmin Priya, and I am an author who studied Mathematics at the National University. I have a deep passion for writing in various genres, including Islam, technology, and mathematics. With my knowledge and expertise, I strive to provide insightful and engaging content to readers in these areas.

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *