নিউইয়র্কের সদর দপ্তরে চলমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে কথা বলতে চায় তালেবান। তবে তারা সেই সুযোগ পাবে কি না সন্দেহ আছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তালেবান সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বলতে চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তালেবান যে এই অনুরোধ করেছে তা তারা জানে।
তবে জাতিসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। আর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে কমিটির কিছুটা সময় লাগবে।
ডয়েচ ভেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট। তালেবান চাইলেও এই বৈঠকে তাদের বলার সম্ভাবনা কম। কমিটিতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনসহ নয়টি দেশ আছে। সোমবার সাধারণ পরিষদের বৈঠক শেষ হচ্ছে। তার আগে কমিটির বসার সম্ভাবনা কম।
তালেবান ইতিমধ্যেই তাদের দোহা ভিত্তিক মুখপাত্র সুহেইল শাহিনকে জাতিসংঘের দূত হিসেবে মনোনীত করেছে। কিন্তু জাতিসংঘের নিয়ম হলো, কমিটি যত দিন সিদ্ধান্ত না নিচ্ছে, তত দিন পুরোনো দূতই বহাল থাকবেন। তাই আশরাফ গনির আমলে নিযুক্ত আফগানিস্তানের দূতই আগামী সোমবার বলবেন। যদিও তালেবান জানিয়ে দিয়েছে, আশরাফ গনির আমলে নিযুক্ত দূত আর আফগানিস্তানের প্রতিনিধি নন।
এ দিকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলো যেন তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করে। তার মতে, ‘বয়কট করে কোনো লাভ হবে না। তাতে মেরুকরণ হবে। তার প্রতিক্রিয়া হবে। কিন্তু কোনো ইতিবাচক ফল হবে না।’