ছাগল চোরের উপদ্রব বেড়েছে

দুল ফিতর আসার সাথে সাথে রংপুরে ছাগল চোরদের পোকা হঠাৎ বেড়েছে। একদিনে নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে কমপক্ষে ছয়টি ছাগল চুরি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছাগল চুরির খবর পাওয়া গেছে।

হঠাৎ ছাগল চুরি নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন। তারা পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

জানা গেছে, নগরীর জলকর এলাকার লোকমান হোসেনের কাছ থেকে একটি ছাগল, নিউ জুম্মাপাড়ার বকুল মিয়া থেকে তিনটি, রংপুর জেলা স্কুল পিয়ন আশরাফুলের একটি এবং কেরানীপাড়া থেকে একটি ছাগল চুরি করা হয়েছে। বুধবার (৫ মে) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই চুরির ঘটনা ঘটে।

নিহতের রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে আমার বাড়ি থেকে একটি মা ছাগল চুরি করা হয়েছে। এখন মা চুরি হয়ে গেছে, দু’টি বাচ্চা সারাক্ষণ চিৎকার করে চলেছে।

তিনি আরও জানান, একটি সংগঠিত গ্যাং প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল ও অটোতে ছাগল চুরি করে চলেছে। এই চক্রটি মূলত দকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ছাগল পালনকারীরা ও কৃষকরা এ নিয়ে খুব চিন্তিত।

নিউ জুম্মাপাড়ার বকুল মিয়া বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার হিসাবে ছাগল পালন করছি। হঠাৎ বুধবার বিকেলে আমার তিনটি ছাগল চুরি হয়ে গেছে। খোঁজ নিচ্ছি, আমি কোনও ছাগলও পেলাম না। ছাগল চুরির কারণে আমি প্রায় 35 হাজার টাকা লোকসান করেছি।

রংপুর জেলা বিদ্যালয়ের পিয়ন আশরাফুল স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেছে যে কিছু যুবক একটি অটোর মধ্যে ছাগল চুরি করেছিল। কিছুদিন আগে আমার অন্য প্রতিবেশীর দুটি ছাগল চুরি হয়েছিল। অভাবের এমন সময়ে ছাগল চুরি করা দুঃখজনক। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করা উচিত।

নগরীর এরশাদনগর আশ্রতপুর এলাকার কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ছাগল চুরির আকস্মিক বৃদ্ধি উদ্বেগের বিষয়। ছাগলের বেশিরভাগ কৃষক দরিদ্র। তারা উচ্চ আশা নিয়ে ছাগল পালন করে। পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে চুরি বন্ধ হবে না।

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, ছাগল চুরির বিষয়ে আমরা এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। যদি এটি হয় তবে আমরা এটি খতিয়ে দেখব।

Leave a Comment

betvisa