চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন সমুদ্রপথে আবার চালু হচ্ছে বিলাসবহুল জাহাজ

চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন সাগরপথে আবারও নামছে বিলাসবহুল জাহাজ ‘এমভি বে ওয়ান’। আগামী ৮ ডিসেম্বর রাত ১০টায় চট্টগ্রাম থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে জাহাজটি। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো পর্যটন মৌসুমে এ সেবা চালু করছে এই জাহাজ।

 

বুধবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনালে অবস্থানরত বে ওয়ান জাহাজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশিদ। জাহাজটি পরিচালনাকারী কর্ণফুলী ক্রুজলাইনের মূল প্রতিষ্ঠান হলো কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স।

তৃতীয়বার চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন সমুদ্রপথে নামানোর আগে জাহাজটিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। বারান্দা ও প্রসাধন কক্ষসহ বিলাসবহুল ছয়টি কক্ষও যুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে দুটি রেস্তোরাঁ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জাহাজটিতে একসঙ্গে ১ হাজার ৮০০ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। প্রায় ৪০০ ফুট লম্বা ও ৭ তলা জাহাজটিতে রয়েছে ১০০ জনের বেশি নাবিক।

সংবাদ সম্মেলনে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশিদ বলেন, জাহাজটি পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ১০-১২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। লোকসান কমাতে হলে যাত্রী বাড়াতে হবে। সে জন্য কক্সবাজারে যাত্রীবাহী জাহাজ ভিড়ানোর ঘাট নির্মাণে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি। তিনি বলেন, সমুদ্র উপকূলীয় পর্যটন এলাকায় ঘাট তৈরি হলে যাত্রী বাড়বে। পাশাপাশি লাভজনক ব্যবসা হলে এ খাতে অনেক উদ্যোক্তা এগিয়ে আসবে।

চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন সমুদ্রপথে আবার চালু হচ্ছে বিলাসবহুল জাহাজ
এম এ রশিদ আরও বলেন, আগামী মৌসুমে চট্টগ্রাম থেকে হজযাত্রী পরিবহনের জন্য নতুন জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের। হজযাত্রী পরিবহনে সরকার নতুন নীতিমালা তৈরি করছে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে উড়োজাহাজের চেয়ে কম খরচে হজযাত্রীরা সৌদি আরব যেতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ছেড়ে শুক্রবার ভোরে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাবে জাহাজটি। সেন্ট মার্টিনে এক দিন ও এক রাত অবস্থান করে শনিবার সকাল ১০টায় সেন্ট মার্টিন থেকে রওনা দিয়ে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ফিরবে জাহাজটি। চট্টগ্রাম না ফিরেও সেন্ট মার্টিন থেকে একই কোম্পানির কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও বার আউলিয়া জাহাজে করে কক্সবাজার যেতে পারবেন পর্যটকেরা।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, এবার যাতায়াত ভাড়াও আগের মৌসুমের তুলনায় কিছুটা কমানো হয়েছে। জাহাজটির ইকোনমি ক্লাস চেয়ারের ভাড়া আসা-যাওয়া মিলে সাড়ে চার হাজার টাকা এবং এক পথের ভাড়া আড়াই হাজার টাকা। বিজনেস ক্লাস চেয়ারের আসা-যাওয়ার ভাড়া ছয় হাজার টাকা, এক পথের ভাড়া ৩ হাজার ৩০০ টাকা। বারান্দা ও প্রসাধনকক্ষ–সংবলিত সবচেয়ে বিলাসবহুল কেবিনের ভাড়া আসা-যাওয়া মিলে ৪৫ হাজার টাকা।

এমভি বে ওয়ান জাহাজের কর্মকর্তারা জানান, সাগরপথে পর্যটনের দ্বার খুলে দিতে ২০২০ সালে জাপানের টোকাই কিসেন কোম্পানির কাছ থেকে জাহাজটি সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড।

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *