করোনা ভাইরাস ও বাংলাদেশ

করোনা ভাইরাস বর্তমানে একটি আতঙ্কের নাম।করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে।২০২০ সালে এটি যখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল,একের পর এক মানুষ এ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল,প্রতিদিন শতশত মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল,তখনই এই ভাইরাস জনসাধারণের সামনে আসে; যা আজও তাণ্ডব চালাচ্ছে পৃথিবীতে।

করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ কে বৈশ্বিক মহামারী বললে ভুল হবে না।তাই বাংলাদেশ ও এর হাত থেকে রক্ষা পায়নি।২০২০ সালের ৭ ই মার্চ বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ইনস্টিটিউট ইতালি ফেরত তিনজনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন।ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে এবং গোটা দেশেই কমবেশি করোনার বিস্তার ঘটে।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমনের পর সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,অফিস,আদালত সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়;শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা শর্তে ঔষুধের দোকানগুলো এবং কিছু দোকানপাট খোলা রাখা হয় যাতে জনসাধারণ তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারেন।এই লকডাউনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করেছে ।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো’তে শিক্ষার্থীরা স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও অনলাইনে তাদের পড়া চালিয়ে যেতে পারছে।বাংলাদেশের টেলভিশন চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণীর ক্লাস নেওয়া হয়।এছাড়া বেসরকারি স্কুল কলেজগুলো হোয়াট’স অ্যাপ,জুম,ফেসবুক ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে করণীয়:
১.বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়া।
২.বাহিরে বেরোনোর পূর্বে মাস্ক পরিধান করা।
৩.সাবান পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া।
৫.লোক সমাগম পূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলা
৬.হাঁচি,কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করা বা কনুই দিয়ে নাক,মুখ ঢেকে রাখা।
৭.ঘরের জিনিসপত্র সব পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা।
৮.ধূমপান পরিহার করা।
৯.করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের আইসোলেশনে রাখা।

স্বাস্থ্যসচেতন হন,সুরক্ষিত জীবন গড়ুন।

(Fahima Akter)

Leave a Comment

betvisa