এক্স-রে তে পেটে মিলল ২৬টি প্যাকেট, জব্দ হলো ১০৪০টি ইয়াবা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক ব্যক্তিকে এক্স-রে করার পর পেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৬টি পলিথিনের প্যাকেট। প্রতি প্যাকেটে ৪০টি করে ইয়াবা পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এভাবে ১ হাজার ৪০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রুমখা পালং গ্রামের ছোটন দাস (৩২), একই এলাকার নূর মোহাম্মদ (২৪) এবং ভাঙ্গার আলগি ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের আমীর হোসেন (২১)। ছোটনের পেট থেকে ২৬টি প্যাকেটে ভর্তি এসব ইয়াবা উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানার পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার মালিগ্রাম আন্ডারপাসের নিচে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছে মাদক আছে, এ কথা বলায় তাঁরা তা অস্বীকার করেন। পরে পুলিশ ওই তিন ব্যক্তিকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর ওই তিনজনেরই পেটের এক্স-রে করা হয়। এক্স-রেতে ছোটন দাসের পেটে পলিথিনের প্যাকেট দেখা যায়। পরে তাঁকে (ছোটন দাস) ওষুধ খাইয়ে মলত্যাগ করিয়ে প্রথম দফায় তাঁর পেট থেকে ৭টি, দ্বিতীয় দফায় ১৬টি এবং তৃতীয় দফায় আরও ৩টি প্যাকেটসহ মোট ২৬টি প্যাকেট পাওয়া যায়। ওই প্যাকেটের প্রতিটিতে ৪০টি করে মোট ১ হাজার ৪০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়।

ছোটন দাস বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া এলাকার এক ব্যক্তি তাঁকে ওই ২৬ প্যাকেট দিয়ে ভাঙ্গায় পৌঁছে দিতে বলেন। এর বিনিময়ে তাঁকে টাকা দেওয়ার কথা বলেন। তবে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলে, ছোটন দাস নিজেই একজন মাদক ব্যবসায়ী।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। এ চক্রের পেছনে আর কে বা কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করার জন্য ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাল মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

Leave a Comment

betvisa