ইসরায়েলের দখলদারি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধান না মানে, তাহলে ফিলিস্তিনিরা ভিন্ন রাজনৈতিক সমাধানের দিকে যেতে বাধ্য হবে।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল রোববার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় নিজ দপ্তরে ফিলিস্তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজায় আমাদের জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সব পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তাদের সহিংসতায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি দুঃসহ হয়ে উঠেছে।’ এ সময় ফিলিস্তিন-ইসরায়েল চুক্তির প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের দেওয়া কথা রাখার এবং অতিসত্বর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারি বন্ধে ভূমিকা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ২ অক্টোবর মাহমুদ আব্বাস বলেছিলেন, তাঁদের সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবের বাস্তবায়ন অথবা ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূমিতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যার পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার ফিলিস্তিনিরা অর্জন করেছে। প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের ওই প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
এদিকে লেবাননের সামরিক-রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না ইসরায়েল। তবে কোনো কারণে সংঘাত শুরু হলে দিনে দুই হাজারের মতো রকেট হামলা ঠেকানোর মতো সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে দেশটির। ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ এক সামরিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলতি বছরের মে মাসে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে ১১ দিনের যুদ্ধে জড়ায় ইসরায়েল। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, ওই সময়ে দেশটিকে নিশানা করে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ রকেট ছোড়ে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো। ইসরায়েলের দাবি, রকেটগুলোর ৯০ ভাগই ঠেকিয়ে দেয় তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’। এত রকেটের মধ্যে ৩০০টির কম রকেট আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এর আগে ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় ইসরায়েল। সে সময় প্রায় এক মাস ধরে লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়।