আপনার যুক্তি কি আপনাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারবে, বোন?

এরপরও আমাদের কিছু বোনরা অদ্ভূত সব যুক্তি দেখিয়ে মেলার ভিড়ভাট্টার মধ্যে যাবেন । তাদেরও বিনোদনের দরকার আছে । দরকার আছে শরীরে ভিটামিন ডি । সারাক্ষণ ঘরে থাকলে ভিটামিন ডি’র অভাব হয় তাদের ।

কসম আল্লাহর !
আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিধান মানতে গিয়ে যদি শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব হয় তো এটাই সহীহ । এই ভাবেই আল্লাহর কাছে চলে যেতে চাই ।

এরপরও আমাদের কিছু বোনেরা দুনিয়াবি পড়াশোনাকে ইবাদাতে পরিনত করার যুক্তি দিয়ে আমভাবে সহশিক্ষাকে জাস্টিফাই করে যাবে । দ্বীনের খেদমত করতে হবে । দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকাটা সমাধান না । সহশিক্ষা পড়ার মত ব্যক্তিত্ব তৈরী করতে হবে । ছেলে মেয়ে একে অপরকে দেখলেই প্রেমে পড়ে যাওয়া যাবেনা !!

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লার কাছে পানাহ চাই এমন যুক্তি দেওয়া ও যুক্তি মানা থেকে ।

এরপরও আমাদের কিছু বোনেরা নিকাব না করার জন্য নিজের মনগড়া সব প্রমান দিয়ে বেড়াবে । সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতে, সাধারনত যা প্রকাশমান – এই অংশটুকু কে মুখ খোলা রাখার পক্ষে ব্যবহার করবে । অথচ শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষনে অগ্রগামী সেই মুখ ঢেকে রাখার ব্যাপারে এরচেয়েও বেশি পরিমানে দলিল প্রমান থাকলেও তারা তা নিবেনা । তারা হজ্জে মেয়েদের মুখ খোলা রাখার পক্ষে যুক্তি দেয় । হজ্জ হচ্ছে এমন এক ইবাদাত যেখানে অনেক হালাল কাজ হারাম হয়ে যায় । তখন মুখ ঢাকা যাবেনা এই নির্দেশ তাহলে নতুন করে কেন আসলো যদি মুখ আগে থেকেই খোলা রাখার অনুমতি ছিলো ? বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গেলে পাত্রীর মুখের দিকে তাকানোর অনুমতি কেন পুরুষকে দেওয়া হলো যদি মেয়েদের সাধারনত মুখ খোলা রেখেই চলাফেরা করার অনুমতি থেকে থাকে ? এইসব যুক্তি তারা স্বেচ্ছায় পাশ কাটিয়ে যায় । আহ !

এরপরও আমাদের কিছু বোনেরা পুরুষদের পাশাপাশি মাসজিদে সালাত আদায়ের জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকবেন যেখানে নারীর জন্য ঘরের ভিতর সালাত আদায় করা উত্তম । তবে হ্যাঁ সফরে থাকা অবস্থায় বা কোন জরুরতে বাইরে থাকলে সুযোগ পেলে সালাতের সময় হলে নিকটস্থ কোন মাসজিদে ওয়াক্ত মত সালাত আদায় করে নেওয়া যেতে পারে ইন শা আল্লাহ ।

আমার বোনেরা !
ঘরে থাকা পর্দার অবিচ্ছেদ্য অংশ । বিনোদনের জরুরত বলে মাহরামের সাথে ভিড় কম এমন জায়গায় যান বোনেরা । ভিটামিন ডি এক্স ওয়াই জেড সব নিয়ে আসেন সমস্যা নাই । কিন্তু ঘরে থাকা মেয়েদের পর্দার অংশ এবং এটা স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লার বিধান – এই বিষয়ে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে ঔদ্ধত্যপনা আমরা না করি ।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের ব্যাপারে একটা হাদীসে বলেছেন –
“ আমার আর তোমাদের উদাহরণ হলো ঐ ব্যক্তির মত, যে আগুন প্রজ্বলিত করলো । অতঃপর কীট-পতঙ্গরা সে আগুনকে আলো মনে করে তাতে ঝাঁপ দিয়ে পড়তে আরম্ভ করলো, আর সে ব্যক্তি তাদেরকে বাধা দিতে লাগলো । আমিও তোমাদের কোমর ধরে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছি আর তোমরা আমার হাত থেকে ছুটে গিয়ে (জাহান্নামের আগুনে) পতিত হচ্ছো । ”
[ মুসলিম ৬০৯৮, বুখারী ৬৪৮৩ ]

আহ আমার বোনেরা !
জাহান্নাম থেকে বাঁচাই যদি আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয় তবে কেন করছি এসব ? কেন ?
একটু ভাবুন বোনেরা আমার !
একটু ভাবুন …

– নুসরাত জাহান আপু

By মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

My name is Mahazabin Sharmin Priya, and I am an author who studied Mathematics at the National University. I have a deep passion for writing in various genres, including Islam, technology, and mathematics. With my knowledge and expertise, I strive to provide insightful and engaging content to readers in these areas.

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *