আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবানরা শিগগিরই নতুন সরকার ঘোষণা দেবে। একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে তাদের প্রস্তুতি। ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে অর্থনৈতিক বিপর্যয়কর অবস্থায় কাবুল দখলের দুই সপ্তাহের মাথায় আসছে ঘোষণা।
তালেবান কর্মকর্তা আহমদুল্লাহ মুত্তাকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, কাবুলের প্রেসিডেন্ট ভবন একটি আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম টোলো নিউজ জানায়, শিগগিরই এখন থেকে নতুন সরকারের ঘোষণা আসছে।
তালেবানের কালচারাল কমিটির সদস্য আনামুল্লাহ সামানগনির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, নতুন সরকারের গভর্নিং কাউন্সিলের সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তার পরেই থাকছেন প্রেসিডেন্ট। গত মাসে এক সিনিয়র তালেবান নেতার বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছিল রয়টার্স।
তবে সর্বোচ্চ নেতার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থাকতে পারে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে।
আনামুল্লাহ সামানগনি জানান, নতুন সরকারে কে কোন পদে থাকবে তা চূড়ান্ত। মন্ত্রিসভা নিয়েও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। তাদের ঘোষিত ইসলামী সরকার মানুষের কাছে মডেল হবে। এ সরকারে আখুন্দজাদার উপস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ হাসান হাকইয়ারের মতো, নতুন ব্যবস্থার নাম প্রজাতন্ত্র বা আমিরাত হওয়া উচিত নয়, ইসলামী সরকারের মতো হওয়া উচিত। আখুন্দজাদার সরকারের শীর্ষস্থানে থাকা উচিত এবং তিনি রাষ্ট্রপতি হবেন না। তিনি হবেন আফগানিস্তানের নেতা। তার তত্ত্বাবধানে একজন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি কাজ করবেন।
এ দিকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ আটকে গেছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ-সহ একাধিক সংস্থা স্থগিত রয়েছে ঋণ ও অনুদান। তাই এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক দাতা ও বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে নতুন সরকারের স্বীকৃতি খুবই দরকার।
১৯৯৬ সালে অনির্বাচিত নেতাদের দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে তালেবান। ২০০১ সালে মার্কিন অভিযানের সূত্র ধরে তাদের পতন ঘটে। এর ২০ বছর পর মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার শুরু হলে দ্রুতই দেশটি দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা।