বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ‘আইনি সুযোগ নেই’ বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে বিশেষ শর্তে অস্থায়ীভাবে মুক্ত থাকা অবস্থার কথা উল্লেখ করে আইন মন্ত্রণালয় এই মতামত পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইনতগত কোনো সুযোগ নেই। কাজেই আমাদের অবস্থান আপনারা বুঝতে পারছেন। আমরা বসে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার আসছিলেন, একটি চিঠি দিয়েছেন আমরা দেখেছি। আইনমন্ত্রী একটি মতামত দিয়েছেন, সেটা আমরা পর্যালোচনা করছি, আরও অধিকতর জায়গায় যদি নিতে হয় তাহলে আমরা পরামর্শ নেব। এখন আমাদের পর্যালোচনায় এটা এসেছে যে এটা নিয়ে আরও আমাদের কথা বলতে হবে।”
বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চায় তার পরিবার।
সোমবার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে তার (খালেদা জিয়ার) ভাইয়ের আবেদনের ওপর আইনি মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে মতামতে কী আছে, তা জানাননি তিনি।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। মহামারির শুরুতে গত বছর ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েকবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ দিকে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তে বলা হয়েছে, তিনি বিদেশ যেতে বা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে পারবেন না। তবে দেশের ভেতরে যেকোনো হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিতে পারবেন।