আকাশের বিন্যস্ত মেঘেরা যখন
ধূসর রঙ অঙ্গে জড়াবে,
উদ্ভাসিত পবনে যখন
বৃক্ষপত্র নেচে চলবে,
অবাক নয়নে আমি তখন
ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকবো!
নিপুণ হাতে মনের ক্যানভাসে আঁকবো,
কল্পনার দৃশ্যপট।
হরিৎ পল্লবগুলো যখন
চাপা আর্তনাদে নিঃশেষিত হবে,
রক্তে রাঙ্গা অস্তিমিত সূর্য যখন
দূর-দিগন্তে ম্লান হয়ে আসবে,
নিষ্প্রভ দৃষ্টিতে আমি তখন
তাকিয়ে থাকব!
মেঘশূন্য আকাশপথে নির্বাক প্রশ্ন নিয়ে।
ব্যস্ত নগরের কোলাহল যখন
নিস্তব্ধতার অতল গহ্বরে ডুবে যাবে,
উজ্জ্বল রাতের উৎসবমুখর আকাশে যখন
নির্জনতা ভীড় জমাবে,
লোভাতুর দৃষ্টিতে আমি তখন
তিমিরাচ্ছন্ন রজনীর সৌন্দর্য ছুঁয়ে দেখবো!
মায়াবী নিশিথে ঝিঁঝিঁরা যখন
দলবেঁধে গাইবে মুক্তির গান,
জ্যোৎস্নারা যখন পরম উচ্ছ্বাস নিয়ে
পাড়ি জমাবে বাঁশ বাগানের ওপাড়ে,
নিশির চাদর জড়িয়ে আমি তখন
মাতোয়ারা হবো আলোকহীন রাত্রির ঘ্রাণে।
লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া