করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আবারো বেড়ে চলেছে দেশে। দেশের ৪০ টি জেলা সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে। সংক্রমণ বাড়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় সেটি চলছে। এমনকি ঢাকার চারপাশের সাত জেলাতেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
তবে এতেও সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই। প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বর্তমানে। তাই লক ডাউনের চেয়েও কঠোর আইন শাট ডাউনের সুপারিশ করেছে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এর আগের দিন গতকাল বুধবার রাতে কমিটির সভায় এ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করা হয়। প্রায় ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাট ডাউন থাকা উচিত বলে সুপারিশ করে এই কমিটি। মূলত পুরো দেশ শাট ডাউন মানে হলো জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবকিছুই বন্ধ থাকবে। কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এই সুপারিশ যৌক্তিক বলে মনে করেন দেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকার কিছুদিন ধরেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এখন জাতীয় পরামর্শক কমিটি যে সুপারিশ করেছে, সেটি যৌক্তিক। সরকারেরও ইতিমধ্যে এই ধরনের প্রস্তুতি আছে। সরকারও কঠোর বিধিনিষেধের চিন্তা-ভাবনা করছে। যেকোনো সময় সরকার তা ঘোষণা দেবে।