প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈঠকে বসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি, ওয়াশিংটন ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও বসবেন না তিনি।
গত শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর সোমবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে রাইসি এই অবস্থান জানান দিলেন।
এদিন রাইসিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি ওয়াশিংটন সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি-না। জবাবে তিনি বলেন ‘না’।
ইসরাইলে প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইরানকে ভয় না পেয়ে তেল আবিবের উচিত ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ সংগ্রামীদের ভয় করা। ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ইরানের নীতি হচ্ছে, সেখানকার মূল অধিবাসীদের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হবে।
রাইসি তার সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা করে ইয়েমেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবকে যথা শিগগিরই সম্ভব ইয়েমেনে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। সেদেশের জনগণকে বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়াই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে দিতে হবে।
এ সময় পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করার জন্য আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকাকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে। ইউরোপীয়দেরকে ওয়াশিংটনের চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে ইরানের প্রতি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
রাইসি তার সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা করা হবে এবং ইরানের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে তার সরকার।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার বৈদেশিক নীতিতে আরব উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উন্নয়ন অগ্রাধিকার পাবে। ইরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরবকে এখনই ইয়েমেনে আক্রমণ বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।
আগামী ৩ আগস্ট ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন কট্টরপন্থি ইব্রাহিম রাইসি।