দিনাজপুর সদর উপজেলায় কোনভাবেই করোনা প্রতিরোধে সুফল পাওয়া যাচ্ছে না কঠোর লকডাউন ঘোষনার পরও । তবে পাড়া মহল্লায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষের চলাফেরা ও আড্ডার ফলে আশঙ্কাজনক হারে করোনার শনাক্ত বেড়ে চলেছে । তবে দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস জানান, দিনাজপুর সদর উপজেলায় করোনায় সংক্রমন ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে । আর কয়েকদিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সদরে বৃদ্ধি পেয়েছে ।
তবে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সদর উপজেলায় প্রবেশের সকল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । আর পথগুলোতে ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি আর বলেন, বিভিন্ন পাড়ায় গঠিত প্রতিরোধ কমিটি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় সদরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । তবে সিভিল সার্জন বলেন, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে প্রতিদিন ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় । আর এই ল্যাবটিতে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলার মানুষেরা করোনার নমুনা দেন।
তিনি আর বলেন, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে আরও একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই ল্যাবের কাজ শুরু হলে দৈনিক ৩ শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে । আগামী শনিবার থেকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্তব্যরত নার্সদের করোনা টিকা দেওয়া হবে সিভিল সার্জন এই কথা বলেন । চীনের সিনো ফার্মার ১০ হাজার ৮শ ভ্যাকসিনের ডোজ ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি । তবে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমান প্রায় ৩২ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।