গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে । তবে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনরত কর্মচারীরা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের দপ্তরের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন । আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছে।
উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব রংপুর ডেইলীকে বলেন, ‘আজ বেলা ১১টার দিকে আমার ও রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে । তবে পুলিশ প্রশাসন এসেছে । আর তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছে ।’ উপাচার্য আরও বলেন, যে সাবেক উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে কিছু লোককে কাজ দিয়েছিলেন । আর তাঁদের কোনো নিয়োগ আদেশ নেই । তবে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কিছু টাকা তাঁদের দিতেন । আর তিনি যোগদানের পর তাঁদের মধ্য থেকে যাঁরা হতদরিদ্র, তাঁদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কিছু টাকা দিয়েছেন । তবে এত লোক এখানে প্রয়োজন নেই। কী করে তাঁদের কাজে লাগাবেন।
উপাচার্য আর বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা মনে করেছেন, জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু নিয়োগ আসতে পারে । আর তাই তাঁরা নিয়োগ পাওয়ার জন্য এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন । তবে এখানে যদি কোনো লোক প্রয়োজন হয়, তা আমরা স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাব । আর এত লোক আমরা নিতে পারব না।
তবে ‘আমরা ১৩ মাস আন্দোলন করেছি । ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাঁর সময় বলেছেন, তিনি রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা নেই আন্দোলনকারী কর্মচারী মাসফিকুর রহমান রংপুর ডেইলীকে বলেন । তবে এখন উপাচার্য নিয়োগ দিলে আমাদের একটা ব্যবস্থা হবে । আর ২ জুন থেকে আমরা দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৩২ জন আন্দোলন করে আসছি । তবে ১২ জুন আমরা রেজিস্ট্রার স্যারের পায়ে ধরেছি । তাঁরা একটুও সদয় হননি। আজ ভিসি ও রেজিস্ট্রার দপ্তর তালাবদ্ধ করে রেখেছি । তবে আমাদের দাবি না মানলে অবরুদ্ধ থাকতে হবে । ’
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান রংপুর ডেইলীকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে আমাদের একটি টিম সেখানে আছে । আর এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় । তবে তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলছে । আশা করি, আলোচনা শেষে একটি ভালো ফলাফল আসবে।’