আমাদের টিস্যুর বেঁচে থাকার জন্য এতে নির্দিষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন হয়।এই অক্সিজেনই টিস্যুর খাদ্য।কিন্তু বিভিন্ন কারণে টিস্যুতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে।টিস্যুতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়াকে হাইপোক্সিয়া বলে।
হাইপোক্সিয়া চার ধরনের হতে পারে-
১.হাইপোক্সিক হাইপোক্সিয়া
ধমনীর রক্তে অক্সিজেনের চাপ কমে যায় এক্ষেত্রে।
২.এনিমিক হাইপোক্সিয়া
এক্ষেত্রে অক্সিজেনের চাপ ঠিক থাকলেও অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিন পরিমাণে কমে যায়।
৩.ইশচেমিক হাইপোক্সিয়া
এক্ষেত্রে রক্তের প্রবাহ এত কমে যায় যে টিস্যুতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ হয়না।
৪.হিস্টোটক্সিক হাইপোক্সিয়া
এক্ষেত্রে সব নরমাল থাকলেও কিছু বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতির কারণে টিস্যু অক্সিজেন ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনা।
হাইপোক্সিয়া গুরুতর পর্যায়ে চলে গেলে শরীরের কোষগুলো মারা যায়।কারণ তারা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত থাকে।
হাইপোক্সিয়া রোগের চিকিৎসা হিসাবে অক্সিজেন থেরাপী প্রয়োগ করা হয়।অর্থাৎ, বাইরে থেকে টিস্যুতে অক্সিজেন প্রয়োগ করা হয়।হাইপোক্সিক হাইপোক্সিয়ার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ১০০% কাজ করে।কিন্তু অন্যান্য হাইপোক্সিয়ার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ততটা কার্যকর নয়।
©দীপা সিকদার জ্যোতি