প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘১১ এপ্রিল নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তা স্থগিত করা হয়েছিল। নির্বাচন হলো জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই নির্বাচনের তারিখ পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া, পরিবেশ-পরিস্থিতি যাই হোক না কেন নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
শনিবার (১২ জুন) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে পৌর এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন স্থগিত করলেও বরিশালসহ যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ কম, তেমন ২০৮টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ২১ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বরিশাল বিভাগে ৩৩টি উপজেলার ১৭৩ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা বাদে ৯টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী কোন দলের, কোন মতের বা কোন পদের তা বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের কাজ হলো সবাইকে সমান সুযোগ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা। নির্বাচনের দিন ব্যাপক সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। তারা কোনো রকম পক্ষ ছাড়া সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টি ভঙ্গিতে ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।’
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, মেট্রো পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান এবং বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।