ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বিয়ে হয় রাজিব (৪৫) ও মোহনার (৩৫)। বিয়ের পর স্বামী জানতে পারে আগেও দুই বার বিয়ে হয়েছে তার স্ত্রীর। তাই স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে নারাজ স্বামী। অবশেষে বিয়ের ২৫ দিন পর স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে এসে অনশন শুরু করে মোহনা। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে জানিয়ে ৯৯৯-এ ফোন দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই থানায় নিয়ে আসে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া শহরের লতিফুর কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এক বছর আগে লতিফপুর কলোনী এলাকার আব্দুল কাইউমের ছেলে ইয়াহিনুর রহমান রাজিবের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় নিশিন্দারা ওলির বাজার এলাকার মৃত নুর আলমের মেয়ে মোহনা বেগমের। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম-ভালবাসা। ফেসবুকে মোহনা জানান তিনি অবিবাহিত। এরপর গত ১৫ মে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীর আগের দুই বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার খবর জানতে পারেন স্বামী। এমতাবস্থায় স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রীর অধিকার চেয়ে স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থান নেন মোহনা। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে জানিয়ে ৯৯৯-এ ফোন দেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্বামী ও স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনাস্থলে আসা এসআই সাজ্জাদ জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে উভয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর উভয়েই নিজেদের অতিত সম্পর্কে জানতে পারে। মোহনার আগেও দুটি বিয়ে হয়েছে। রাজিবও বিবাহিত।
রাজিবের বাবা আব্দুল কাইউম জানান, মোহনা তার ছেলে রাজিবকে পরিকল্পিত ভাবে জোর করে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। মোহনাকে মারপিট বা নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, উভয় পরিবারের লোকজন নিয়ে বসে আলোচনা করে সমাধানের জন্য ছেলে ও মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।