সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী কুড়িগ্রাম জেলার ২৭৮ কিলোমিটার সীমান্তের অধিকাংশ স্থান উন্মুক্ত থাকায় মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতীয় ধরণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত জেলাবাসী।
এমন উদ্বেগজনক মুহূর্তে কুড়িগ্রামে নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পিসিআর ল্যাব নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার।
পিসিআর ল্যাব স্থাপন সংক্রান্ত সরকারি সম্মতি ও নির্দেশনাপত্র পেয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগ। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ল্যাবটি স্থাপনে কাজ করবে গণপূর্ত বিভাগ।
পিসিআর ল্যাব স্থাপনে সরকারি নির্দেশনা সংক্রান্ত পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রামের ডিপুটি সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন বাংলানিউজকে জানান, ল্যাব স্থাপন সংক্রান্ত পত্রটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নির্মাণে দ্রুত স্থান নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের নতুন ভবনে ল্যাবের জন্য পর্যাপ্ত স্পেস না থাকায় পৃথক ভবন নির্মাণ করে ল্যাব স্থাপন করা হবে। গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে যতো দ্রুত সম্ভব ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পিসিআর ল্যাবটির কার্যক্রম শুরু হলে নমুনা দিয়ে একদিনেই ফলাফল জানতে পারবে কুড়িগ্রামবাসী। বর্তমানে নমুনা সংগ্রহ করে তা রংপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠানোয় ফলাফল পেতে প্রায় ৭২ ঘণ্টা সময় অপেক্ষা করতে হয়। কুড়িগ্রামে পিসিআর ল্যাব স্থাপন হলে এই বিড়ম্বনার অবসান হবে।
কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারি শুরু থেকে চলতি বছর ৫ জুন পর্যন্ত কুড়িগ্রামে আট হাজার ২৮৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ২৪ জনের।