বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী শান্তিতে নোবেলজয়ী হলেন মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানের পাখতুনে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তালেবানদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি ব্রিটেনে চলে আসেন এবং সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পান।
সম্প্রতি ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক বিখ্যাত ‘ভোগ’ পত্রিকার জুন সংখ্যায় মালালা ইউসুফজাইকে প্রচ্ছদে স্থান দেওয়া হয়েছে। মালালার একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যায়। তার ওই সাক্ষাৎকার নিয়েই নেট দুনিয়াই শুরু হয়েছে তোলপাড় । সাক্ষাৎকারে বিয়ে প্রসঙ্গে মালালা যা বলেছেন, তা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এমনকি, কেউ কেউ সেই মতকে ‘ইসলাম বিরোধী’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
মালালা ইউসুফজাইয়ের বিয়ে প্রসঙ্গে বক্তব্যটি ছিল মূলত এরকম, ‘আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না, কেন সবাই বিয়ে করে? জীবনসঙ্গীকে বেছে নিতে হলে, কাগজে সই করার দরকার কী? এটা একটা পার্টনারশিপও তো হতে পারে। ’
পাকিস্তানের একজন মুসলিম মেয়ের কাছ থেকে এধরণের বক্তব্য অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে। অনেকেই বলেছেন, মালালা পশ্চিমা সংস্কৃতি ধারণ করে এখন, সে পূর্বে কোন সমাজের ছিল তা ভুলে গেছে।
যারা সবসময় তার প্রতিবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে ছিল তারাও অনেকে মালালার এই বক্তব্য মেনে নিতে পারছে না। তবে অনেকে বিয়ের মতো একটি সামাজিক প্রথাকে নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার জন্য মালালার প্রশংসাও করেছেন ।
তবে মালালার নিজ দেশে পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বক্তব্যের সমালোচনা সবচেয়ে বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, মালালার বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন যা তরুণদের মনকে কলুষিত করে। অন্যদিকে কেউ কেউ তাকে “পশ্চিমা সংস্কৃতি” নকল করার জন্য নিন্দা জানিয়েছে এবং পবিত্র বিবাহ বিয়ের নিয়ম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা প্রচারের জন্য তাকে দোষারোপ করেছেন।