ডায়াবেটিস মেলাইটাসের ধরণ,কারণ ও জটিলতা

আমাদের সচরাচর শোনা একটি রোগ হলো ডায়াবেটিস।তবে এর দুটি ধরণ আছে।ডায়াবেটিস মেলাইটাস আর ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস।আজ আমরা ডায়াবেটিস মেলাইটাস সম্পর্কে জানবো।

ইনসুলিনের অভাবে যখন দীর্ঘস্থায়ীভাবে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হয়ে থাকে তখন সে রোগটিকে বলা হয় ডায়াবেটিস মেলাইটাস।এর বিভিন্ন ধরণ আছে।যেমন-
*টাইপ ১ ডায়াবেটিস মেলাইটাস। বিটা সেল ধ্বংসের কারণে এটি হয়ে থাকে।সাধারণত ৭০-৯০% বিটা সেল ধ্বংস হয়।
*টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলাইটাস। ইনসুলিন ও বিটা সেলের কর্মদক্ষতার অভাবে এটি হয়ে থাকে।
*সেকেন্ডারি ডায়াবেটিস মেলাইটাস। এর কারণ হলোঃ
-এন্ডোক্রাইনোপ্যাথিস
-অগ্ন্যাশয়ের রোগ
-যকৃতের রোগ
-ড্রাগ গ্রহণ।
*গেসটেশোনাল ডায়াবেটিস মেলাইটাস। এটি সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের হয়ে থাকে যারা আগে থেকে ডায়াবেটিস মেলাইটাসে আক্রান্ত নয়।

ডায়াবেটিস মেলাইটাস হলে দুইধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
১.স্বল্পস্থায়ী জটিলতা
২.দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা
স্বল্পস্থায়ী জটিলতার মধ্যে রয়েছে
-ডায়াবেটিক কোমা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া,ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস,হাইপারগ্লাইসেমিক হাইপারঅসমোলার স্টেট)
-হাইপোভলেমিক শক
-ল্যাকটিক এসিডোসিস
দীর্ঘস্থায়ী জটিলতার মধ্যে রয়েছে
-ম্যাক্রো ভাসকুলার জটিলতা (করোনারি আর্টারি ডিজিজ,সেরেব্রো ভাসকুলার ডিজিজ,পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিজ)
-মাইক্রোভাসকুলার জটিলতা (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি,রেটিনোপ্যাথি,নেফ্রোপ্যাথি)
-ডায়াবেটিক ক্যাটা‌র‌্যাক্ট

ডায়াবেটিস হলে আরোগ্যলাভ করা যায়না।কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে ক্ষতি কমানো যেতে পারে।তাই ডায়াবেটিস মেলাইটাস হলে সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে।

©দীপা সিকদার জ্যোতি

Leave a Comment