মহম্মদ ইব্রাহিম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে শিক্ষার্থীর সাথে দেখা করেন। তিনি পেশায় ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক। পরিচয় থেকেই ইব্রাহিমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আসে। ইব্রাহিমের আগে বিয়ে করার বিষয়টি একটি গোপন বিষয় ছিল।
তারপরে, পরিবারের সম্মতিতে, ছাত্রটি প্রায় এক বছর আগে অন্য কোথাও বিয়ে করে। সম্প্রতি ছাত্রটি ছেলের সাথে বাবার বাড়িতে এসেছিল। ছাত্রটি বলে যে মোটরসাইকেল চালক তার সাথে একটি নতুন সম্পর্ক রাখতে চায়। সে এটা পছন্দ করে না. এ নিয়ে বিরোধ একপর্যায়ে ছেলেটি ছাত্রের মুখে ছুরিকাঘাত করে।
রবিবার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাটাদিয়া বড়াইকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে হিসাববিজ্ঞান অধ্যয়নরত। তার গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরমদী ইউনিয়নে।
ঘটনার পরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, রবিবার মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার মুখে দুটি ছুরিকাঘাতের আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
হাসপাতালে চিকিত্সা করা ওই ছাত্রী জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে এবং মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সাথে দেখা করেছিলেন। বরিশাল সদর উপজেলার চরকোয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি পেশায় ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক। পরিচয় থেকেই ইব্রাহিমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আসে। তবে ইব্রাহিমের আগে বিয়ে করার বিষয়টি একটি গোপন বিষয় ছিল।
এদিকে পরিবার মোটরসাইকেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জানতে পেরে তাকে marriedাকার এক ব্যবসায়ীর সাথে বিয়ে দেয়। তারপরে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। তাদের পরিবারে বর্তমানে তাদের একটি ছেলে রয়েছে। তিন বছর পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা আবার শুরু করেন। এই উপলক্ষে আমি আবার ইব্রাহিমের সাথে দেখা করি।
ইব্রাহিম স্বামী ও সন্তান ধারণ করেও তাকে প্রস্তাব করেছিলেন ইব্রাহিম বেশ কয়েকবার তার এবং তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে তাকে হুমকি দেয়। গত রবিবার সকালে তিনি স্বজনদের সাথে বাকেরগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রাক্তন প্রেমিক ইব্রাহিম ও তার দল কাটাদিয়া বড়াইকান্দি এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে।
শিক্ষার্থীর স্বজনরা বলছেন যে একপর্যায়ে ইব্রাহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এতে ব্যর্থ হয়ে সে তাকে ছুরি দিয়ে মুখে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, এ জাতীয় কোনও ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। কোনও অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।