রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন বিনিয়োগকারী ফাহিম সালেহ হত্যার একমাত্র সন্দেহভাজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত সহকারী টেরেস ডিভন হাসপিলকে নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন আইনজীবীরা। তারা বলে যে হাসপিল ফাহিমের বিলাসবহুল জীবনে আসক্ত হয়ে পড়েছিল।
হাসপিল যখন মাত্র 18 বছর বয়সে ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী পদে আবেদন করেছিলেন। ততক্ষণে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুবক ফাহিম নিজেকে প্রযুক্তির জগতে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
হাসপিল তার সাথে কাজ শুরু করার মুহুর্ত থেকেই ফাহিমের মতো বাঁচতে শুরু করেছে। ফাহিমকে প্রায়শই অন্য দেশে স্টার্টআপের কাজের জন্য থাকতে হত, এই উপলক্ষে হাসপিল সারা রাত ধরে তার বসের বিলাসবহুল বাড়ি এবং পার্টিতে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাত। তিনি মনে করলেন যেন বাড়িটি তাঁরই।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আইনজীবীদের বরাত দিয়ে বলেছে। পরে তিনি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড হাসপাতালের এক বন্ধুর সাথে কথা বলে সত্যটি জানতে পেরেছিলেন।
গত বছরের ১৪ জুলাই দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে ফাহিমকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডে নিজের বাড়িতে হত্যা করা হয়েছিল।
ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, একাধিক মারধরের পরে তিনি মারা গেছেন। হাসপিলকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ফাহিম প্রযুক্তির জগতে একটি ওয়েব বিকাশকারী হিসাবে তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। তারপরে ধীরে ধীরে তিনি নিজেকে উদ্যোগী পুঁজিবাদী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি পাথয়ের সাথে 2015 থেকে মার্চ 2018 পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন।
হত্যার দিন দুপুর দেড়টার দিকে ফাহিমকে সিসিটিভিতে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল। সন্দেহভাজন হাসপিলকেও এ সময় ব্যাগ বহন করতে দেখা যায়। তারা লিফট জন্য দাঁড়িয়ে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ফাহিম কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে ঘাতকের দিকে তাকাচ্ছে। তারপরে দুজনে লিফটে উঠে পড়ি। ফাহিম সপ্তম তলায় তার ফ্ল্যাটে প্রবেশের সাথে সাথে ঘাতক তাকে আক্রমণ করে।
তাকে বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে কাটা হয়েছিল। পাশের দিকে করাত পড়ে ছিল। একটি ব্যাগ শরীরের বিভিন্ন অংশে ভরা ছিল।
হাসপিল ফাহিমের কাছ থেকে কয়েক হাজার ডলার ধার করে তার কাছ থেকে চুরি করেছিল। তবে ফাহিম তাকে ক্ষমা করে দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল।