নিখোঁজ হওয়ার নয় দিন পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও মাইম শিল্পী হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী হাফিজুর রহমানের লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
ঢাবির প্রক্টর জানান, গত কয়েকদিন ধরে হাফিজুর রহমান নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার ঢাকা মেডিকেলের মর্গে একটি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে। পরে আমরা তাকে হাফিজুর রহমান হিসাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি।
শাহবাগ থানার ওসি মামুনুর রশিদ জানান, ১৫ মে শনিবার হাফিজ ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এসে ‘আমাকে ক্ষমা করুন’, ‘আমাকে ক্ষমা করুন’ বলেছিলেন। যায় সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই অবস্থায় তিনি চিকিত্সা নিতে অস্বীকার করেছিলেন। পরে তিনি মারা গেলে পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেন।
তিনি বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের কেউ অভিযোগ করলে সেই আলোকে তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পরিবারের মতে, হাফিজুর এর আগে ঈদুল ফিতরের পরের দিন ঢাকার উদ্দেশ্যে তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়েছিল। পরে ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিংয়ের পরে তিনি চলে যান। সে তার মায়ের সাথে কার্জন হলের সামনে বসে তার মোবাইল ফোনে কথা বলেছিল। তখন থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। হাফিজুর রহমান ২০১৫-১। সেশনের জন্য ঢাবির তথ্য বিজ্ঞান এবং গ্রন্থাগার পরিচালনা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন মাইম শিল্পী। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কে এম গোলাম রাব্বানী বলেছিলেন, “আমরা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, এই ঘটনাটি দেখে অত্যন্ত হতবাক। আমরা হাফিজের পরিবারের পাশে আছি। আমরা এই ঘটনায় জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় রেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি। আমি ছাত্রদের বলতে চাই যে তারা আমাদের তাদের যে কোনও বিপদ সম্পর্কে অবহিত করে। আমরা তাদের পাশে থাকব।