শেখ হাসিনার সরকার কোনও দুর্নীতিকে সমর্থন করে না, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর এবং সুস্পষ্ট। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুশাসনের স্বার্থে, যে দোষী, তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার তার দলের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কাউকে ছাড় দিচ্ছে না।
শুক্রবার (২১ মে) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল আন্দোলনের কথা বলছেন, তবে আন্দোলন করার মতো শক্তি ও সামর্থ্য কি তাদের আছে? এমন প্রশ্ন বিএনপির মহাসচিবকে জিজ্ঞাসা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, যারা দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য মিছিলও করতে পারেননি তারা আন্দোলন-সংগ্রামের সাথে একমত নন। জনগণ আর বিএনপি আন্দোলনে সাড়া দেয় না। তাদের আন্দোলনের ডাক হ’ল আশারকে হুমকি দেওয়া।
ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যে মিডিয়াতে দুর্নীতি যেন প্রকাশ না হয় সেজন্য সরকার গণমাধ্যমকে আঘাত করেছে। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, তখন শামসুর রহমান, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালু সহ একাধিক সাংবাদিক বিএনপির শাসনামলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল, কেন অনেককে নির্যাতন করা হয়েছিল? তাহলে বিএনপি কি তাদের সাংবাদিকদের দুর্নীতি coverাকতে নির্মমভাবে হত্যা ও নির্যাতন করেছিল?
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আওয়ামী লীগের শেকড় এ দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে অনেক গভীর।” আওয়ামী লীগ প্রতিটি দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে প্রথম। ‘দেশ আর অন্ধকারে নেই তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকার যে অন্ধকার রেখেছিল, সেই দেশটি এখন আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে।