মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন ফিলিস্তিনে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ডাকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ইসরাইল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করতে রাজি করায় মিশরের মধ্যস্থতার প্রশংসাও করেছিলেন বিডেন।
বৃহস্পতিবার ইস্রায়েলের সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরপরই হোয়াইট হাউসে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বাইদেন এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
ইস্রায়েলি মন্ত্রিসভা এক বিবৃতিতে বলেছে যে, মিশরের দেওয়া সমঝোতার প্রস্তাবের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি হবে ‘দ্বিপক্ষীয় এবং নিঃশর্ত’।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিডেন বলেছেন যে এটি ইস্রায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণে সহায়তা করবে।
হামাস ইস্রায়েলের যুদ্ধবিরতিকে ফিলিস্তিনিদের বিজয় হিসাবে দেখছে। হামাসের এক মুখপাত্র কাতারভিত্তিক আল জাজিরাকে বলেছেন, “ইস্রায়েলের সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের জয় দিয়েছে।”
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২ টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কখন, তা নিয়ে উভয় পক্ষই আলোচনা করছিল।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণাই উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য একটি ভাল সুযোগ বলেছিল।
“আমি বিশ্বাস করি আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে,” বিডেন হোয়াইট হাউসে বলেছিলেন। আমি এটি নিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। “
ইস্রায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রিত হামাস পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইস্রায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে ১১ দিন ধরে পাল্টা জালিয়াতি করছে। ইস্রায়েল গাজা থেকে ইস্রায়েলে রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করে ১০ ই মার্চ রাত থেকে দখলকৃত উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্থাপনাগুলিতে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
ইস্রায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি শিশু রয়েছে। অন্যদিকে, ইস্রায়েলে হামাস চালিত রকেটে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানানো সত্ত্বেও ইস্রায়েল কোনও সাড়া দেয়নি।