বেঁচে থাকার জন্য যা ইচ্ছে তাই খেয়ে থাকেন আপনি কি শুধু ? নাকি আপনি সুস্থ এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থেকে জীবনকে উপভোগ করতে চান আপনি? তবে জেনে নিন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের একটি তালিকা ৷
১ . সবকিছুই শরীরের জন্য প্রয়োজন ;
একই ধরনের খাবার প্রতিদিন কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয় ৷ তবে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন, যা শরীরের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ৷ আর তাছাড়া খাবারের গুণগত মানটাই বড়, খাবারের পরিমাণ নয় ৷ তবে এই যেমন, প্রোটিন শরীরের ওজন না বাড়িয়ে মানসম্পন্নভাবে শক্তি সরবরাহ করে, যা কোষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷
২ .আঁশযুক্ত খাবার :
আঁশযুক্ত শষ্যদানা রাখুন খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে ৷ তবে বিশেষ করে সকালের নাস্তায় সিরিয়ালের সাথে বিভিন্ন শষ্যদানা, গম, ভুট্টা, ফল এবং দই থাকতে পারে ৷ আর এতে ঝটপট পেট ভরে এবং পেট পরিষ্কারও থাকে, অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এগুলো ৷ তবে ফল মানেই আপেল, আঙুর নয় ৷ বরং যখন যে ফল পাওয়া যায়, মানে মৌসুমি ফল খান ৷ আর এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে ৷
৩ .তাজা ফল এবং শাক-সবজি :
আর প্রতিদিন খাবারের তালিকায় শিম, মটরশুটি, বরবটির মতো আঁশযুক্ত সবজি ও যথেষ্ট ফল থাকা প্রয়োজন৷ এ সব শরীরে চিনি নিয়ন্ত্রণে যেমন সাহায্য করে, তেমনি হৃদরোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে৷ বাঁধাকপি, ফুলকপি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক৷ বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার মতে দিনে কয়েকবার শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত ৷ আর যাঁরা ফলমূল এবং শাক-সবজি বেশি খান, তাঁদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির ঝুঁকিও নাকি কম থাকে ৷
৪ . ফাস্টফুডকে ‘না’ বলুন :
রেডিমেড’ খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বা দোকানে তৈরি ‘ফাস্টফুড’ ৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে ফাস্টফুড হাঁপানি হওয়ার শঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় তবে এগুলোতে লুকিয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং নানা রকম ক্ষতিকারক জিনিস৷ ৷ আর ৩১টি দেশের শিশুদের ওপর এক গবেষণা করে এ তথ্য জানা গেছে ৷ আর তাই ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে ৷
৫ . ব্রেনের জন্য খাবার :
আর মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন শর্করা এবং গ্লুকোজ৷ এটা থাকে বিভিন্ন ফল, রুটি, মিষ্টি আলু, নুডলস, মাছ-মাংস, কাঠবাদাম প্রভৃতিতে ৷ বিভিন্ন ধরনের বাদাম নিয়মিত খাওয়া জরুরি তা অল্প পরিমাণে হলেও । আর এতে শরীরের প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদানগুলি রয়েছে ৷ তবে দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই বা তিনদিন বিভিন্ন রকমের বাদাম খেলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব ৷ ডিমের কুসুমও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী ৷
৬. আদা, রসুন, পেঁয়াজের জুড়ি নেই :
আপনি রান্নায় যতটা সম্ভব কম তেল ব্যবহার করুন । তবে যদি সম্ভব হয় সরাসরি উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করাই ভালো৷ উদ্ভিজ্জ খাদ্যে যেমন অল্প পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, তেমনি অন্যদিকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ আর ফাইবার । রান্নাঘরে আদা, রসুন, পেঁয়াজের ব্যবহার এমনিতেই রয়েছে ৷ এই পেঁয়াজ, রসুন, ক্যানসার রোধে সহায়ক৷ আর আদা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে পেট পরিষ্কার রাখে ৷
৭. হাঁটুন :
তবে প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটুন৷ এতে হাত-পা চলাচলের পাশাপাশি মুক্ত বাতাসও সেবন হবে, যা ‘ফিট’ থাকতে বিশাল ভূমিকা পালন করে ৷ আর হাঁটার সময় কেউ পাশে থাকলে ভালো, না হলে একাই কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন ৷ তবে ফিরে এসে দেখবেন শরীর এবং মন – দুটোই কেমন ফুরফুরে লাগছে ! আর হাঁটাহাটি বা ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে ৷
প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর থাকা, মন ও শরীর সুস্থ ও সুন্দর, মহামারি ও রোগ প্রতিরোধে ইসলাম, যদি সুন্দর থাকতে চান, শরীর সুস্থ্য রাখুন ব্যায়াম, সুস্থ ও সুন্দর, সুস্থ ও সুন্দর থাকার, সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য, সুস্থ থাকার জন্য কিছু টিপস, সেরা স্বাস্থ্য টিপস কি কি, স্বাস্থ্য ফিচার, স্বাস্থ্য বিষয়ক, স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি, হেলথ কেয়ার টিপস, স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস, স্বাস্থ্য বিষয়ক ডাক্তারি টিপস, স্বাস্থ্য টিপস, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য টিপস, স্বাস্থ্য সম্পর্কে টিপস, স্বাস্থ্য সচেতনতা টিপস, স্বাস্থ্য টিপস বাংলা, স্বাস্থ্য বিষয়ক অজানা তথ্য, স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস |, সেরা 5 হার্টের স্বাস্থ্য পরামর্শ, সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য, সুস্থ ও সুন্দর থাকা, শীতকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ক, স্বাস্থ্য টিপস বা স্বাস্থ্য,