গত ১২ মে চীন থেকে দেশে এসে পৌছায় ৫০ লাখ ডোজ সিনোফার্ম টিকা। সেই টিকার প্রয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহ থেকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, “আগামী ২৫ অথবা ২৬ তারিখ থেকে এই টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে পারব আমরা। সেই পরিকল্পনা মোটামুটি দাঁড় করানো হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ‘সম্মুখসারির যোদ্ধারা’ অগ্রাধিকার পাবেন আগে।
এদিকে চীনের উদ্ভাবিত টিকা দেশেই যাতে উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের কাজ সেরে রেখেছে সরকার। তবে দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে আরও সময় লাগবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার এ বিষয়ে বলেন, এখনও দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে চীনের সিনোফার্মের টিকা তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক চীনা ভ্যাকসিন সিনোফার্মকে জরুরি অনুমোদন দেয়ার পরই বিশ্বজুড়ে এই ভ্যাকসিন নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশেও এর দুইটি ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তার সঙ্গে দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের কথা বার্তাও চলতে থাকে ।দেশের ইনসেপ্টা, পপুলার ও হেলথ কেয়ার ফারমাসিউটিক্যালের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে আলোচনা চলছে। তবে চীন ও রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা এসে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিলেই টিকা উৎপাদন শুরু হবে।