আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সময়ের সম্মানিত রাষ্ট্রপতি হিসাবে অভিহিত করে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার চিন্তাভাবনা আগামী নির্বাচন নয়, পরবর্তী প্রজন্মের।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কার্যত আলোচনার সভায় যোগ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেতা হিমাডরি শিখরের সাফল্যের মূর্ত প্রতীক বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের স্রষ্টা হয়েছেন।”
শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, তিনি চার দশকে অনেক দূর এগিয়ে এসেছেন। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গেয়েছিলেন তিনি। ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে তিনি বারবার সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছিলেন। তিনি দলকে এবং নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, শেখ হাসিনা 75 বছরের পরে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা উত্তর বাংলাদেশের সর্বাধিক সৎ রাজনীতিকের নাম। সবচেয়ে সাহসী ও মানবতাবাদী রাষ্ট্রনায়ক হলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা 75-পরবর্তী রাজনীতিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।
সংগ্রামী নেতার কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে সময়ের সম্মানিত রাষ্ট্রপতি হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি ভাবেন না। তার মাথা পরবর্তী প্রজন্মের সাথে কাজ করে। সে কারণেই তিনি রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে রূপান্তরিত হয়ে গেছেন। তিনি আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের নেতা হিসাবে পরিচিত
অন্ধকার সময়ে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম যে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছেন। সে কারণেই আমাদের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর কথা জানতে পেরেছে।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন যে, তার পুত্রবধু শেখ হাসিনা সামরিক শাসকের রক্তাক্ত চোখ উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ ই মে বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভিজে মাঠে ফিরে এসেছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেছিলেন যে দেশে ফিরে তিনি দেশের শৃঙ্খলাবদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সারা দেশে ছুটে এসেছিলেন। তিনি ঝগড়াটে ও বিতর্কিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি অবরোধহীন গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে আপোষহীনভাবে লড়াই করেছেন।