আমাদের যখন কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হই তখন আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেই, ঔষুধ গ্রহণ করি।এতে করে আমাদের রোগ সেরে যায়।কিন্তু এর বাইরেও আমাদের শরীরে অনেকসময় অনেক জীবণু প্রবেশ করে।তবুও আমরা সবসময় অসুস্থ হয়ে পড়িনা।এর কারণ হলো আমাদের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।আমাদের দেহ বাইরে থেকে প্রবেশকৃত জীবাণুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।তাই খুব সহজেই আমরা সবসময় অসুস্থ হয়ে পড়িনা।এরই নাম অনাক্রম্যতা।
অনাক্রম্যতা হলো আমাদের শরীরের এমন এক ক্ষমতা যার দ্বারা আমাদের শরীরে বাইরে থেকে প্রবেশ করা ক্ষতিকর ও বিষাক্ত জীবসত্তা ধ্বংস হয়।
এর আবার প্রকারও হয়েছে।সেগুলো হলো-
*প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা এবং
*অর্জিত অনাক্রম্যতা
প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা আমরা জন্মগতভাবেই অর্জন করে থাকি।আমাদের মধ্যেই তা গড়ে ওঠে স্বাভাবিক নিয়মে।তবে এরূপ অনাক্রম্যতা নির্দিষ্টভাবে কোনো বাহ্যিক জীবসত্তার উপর কাজ করেনা।এর অন্তর্গত হলো-
*ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য আক্রমণকারী পদার্থের ফ্যাগোসাইটোসিস
*গিলে ফেলা ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস (হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও পরিপাক এনজাইম দ্বারা)
*ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা
*রক্তে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি
এর পরে যেটি আসে সেটি হলো অর্জিত অনাক্রম্যতা।স্বাভাবিকভাবে এটি আমাদের মাঝে থাকেনা।আমাদেরকে জন্মের পরে তা অর্জন করতে হয়।তবে প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতার চেয়ে এটি বেশি শক্তিশালী এবং নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা বিষাক্ত পদার্থের উপর কাজ করে।সাধারণত ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে আমরা এটি অর্জন করি।এর মধ্যে রয়েছে-
*বি সেল নির্ভর অনাক্রম্যতা
*টি সেল নির্ভর অনাক্রম্যতা
এই দুই প্রকার অনাক্রম্যতার ফলে আমাদের শরীরে নানাভাবে প্রবেশ করা জীবাণু ধ্বংস হয় এবং আমরা সহজে অসুস্থ হয়ে পড়িনা।
©দীপা সিকদার জ্যোতি